আপনি নিজেকে কি মনে করেন? বস নাকি লিডার? সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আপনি নিজেকে কি মনে করেন? বস নাকি লিডার?

সামিনা তাসনীম 

বস হোক বা লিডার, দুজনের অধীনেই অনেকগুলো মানুষ কাজ করে যায়। কিন্ত দুইজনের কাজের ধরন ভিন্ন। যার ফলে দুজনের অর্জন গুলোও ভিন্ন রকম হয়। বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন বস কাজের অর্ডার দেয় আর লিডার পথ দেখায়। এই একটা বিষয় কখনো বস এবং লিডার কে ডিফাইন করে না। একজন লিডারও কাজের অর্ডার দিতে পারেন। আবার একজন বসও পথ দেখাতে পারেন। 

তাহলে কিভাবে বুঝবেন কে বস আর কে লিডার?


চলুন তাহলে কিছু বিষয় জেনে নেই যা একজন বস ও একজন লিডারকে একে অপর থেকে আলাদা করে তুলে।

🔰 একজন লিডার সবসময় তার কর্মীদের গ্রোথ এর দিকে নজর দেন। কিভাবে তার কর্মীদের ডেভেলপমেন্ট হবে তাতে ফোকাস করেন। অন্যদিকে বসের কাজ কি? শুধু কোম্পানির গ্রোথ কিভাবে হবে তার প্ল্যান করা আরকি!

🔰 "আমি" এবং "আমরা" এই দুই শব্দের ব্যবহার শুনলেই আপনি কিন্ত ইন্সট্যান্টলি বলতে পারবেন কে বস এবং কে লিডার। কারন বস সবসময় "আমি" শব্দে বিশ্বাসী আর একজন লিডার এর প্রিয় শব্দই হলো "আমরা"।

🔰 কাজ নিয়ে কখনো আপনার মধ্যে বিরক্তি বা ভয় কাজ করে? যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয় তাহলে বুঝবেন আপনি একজন বসের অধীনে আছেন। কারন একজন লিডারের অধীনে যারা কাজ করে তাদের মধ্যে সবসময় একটু অন্যরকম উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্ত একজন বস সবসময় তার কর্মীদের ভয় দেখিয়ে কাজ আদায় করেন।

🔰 ভুল করলে কর্মীদের দোষ, ঠিক করলেই নিজের ক্রেডিট! কার অভ্যাস বলুন তো। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন😃 বসেরা ক্রেডিট নেয় আর লিডার ক্রেডিট দেয়।

🔰 "Do This" আর "Let's Do This" কোন বাক্যটি কাকে রিপ্রেজেন্ট করে জানেন তো? বস কাজ করতে বলে আর লিডার সাথে নিয়ে কাজ করেন।

🔰 একজন লিডার ২৪/৭ কাজে বিশ্বাসী নন। কাজের মধ্যে যদি বিনোদন না থাকে তবে তা নিজের মধ্যে বিরক্তি আনে। বসদের ধারণা কর্মীদের সারাক্ষণ কাজের উপরে রাখলে কোম্পানির গ্রোথ আসবে।

🔰 চাপ দিয়ে কাজ আদায় কার অভ্যাস? অবশ্যই বসদের। এই অভ্যাস কর্মীদের মনে তাদের বসের প্রতি সম্মান কমিয়ে দেয়। কিন্ত একজন লিডার জানেন কিভাবে কর্মীদের সম্মান অর্জন করতে হয়। রেস্পেক্ট এর কারনে করা কাজ আর ভয় পেয়ে করা কাজের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে।

🔰 একজন লিডার সবসময় চেষ্টা করেন কর্মীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে। কর্মীদের কাধে পা রেখে যদি আপনি উপরে উঠতে চেষ্টা করেন তবে মনে রাখবেন এই কর্মীরা সরে গেলে মুখ থুবড়ে আপনিই পড়বেন।

🔰 হাতের ৫ আঙ্গুল কখনো সমান হয় না। তেমনি সব কর্মীদের কাজ করার বা বোঝার ক্ষমতা কিংবা কাজ করার পদ্ধতি একই হবে না। আপনি সবাইকে দিয়ে যদি সব কাজ হবে এক্সপেক্ট করে থাকেন তবে আপনি একজন লিডার হিসেবে অযোগ্য। That means you are bossing around!

🔰 বসদের একটা কমন অভ্যাস যেটা দেখতে পাওয়া যায় তা হলো কর্মীদের তিরস্কার করা বা খোঁচা দেয়া। সেটা হতে পারে কাজের ভুল এর জন্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয় নিয়ে। আপনি যদি কাউকে কোনো বিষয় নিয়ে খোঁচা দিয়ে থাকেন সেটা গোপনে হোক কিংবা সবার সামনে ন্যাচারালি তার কাছে আপনার একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হবে। একজন লিডার কখনোই তার কর্মীদের তিরস্কার করেন না। কাজ হোক বা তার সাথে রিলেটেড যেকোনো বিষয় তা নিয়ে পিঞ্চ করা কখনো একজন লিডারের কাছ থেকে কাম্য নয়।

এছাড়া আরো অনেক ডিফারেন্স আছে একজন বস এবং একজন লিডার এর মধ্যে। আপনি চাইলেই একজন বস হতে পারেন কিন্তু ইচ্ছা হলেই লিডার যায় না। লিডারশীপ স্কিল অর্জন ও চর্চা করতে হয়।"Leadership is about one life influencing another."-- John C. Maxwell! বস নয় বরং লিডার হওয়ার চেষ্টা করুন। যদি আপনি একজন লিডার হতে না পারেন তবে দিনের শেষ এ দেখবেন আপনার চেয়ে একা কেউ নেই। কারন বসিং করা মানুষগুলো কে কর্মীরা সামনে যতটা সম্মান দেখায় বাস্তবেই তার প্রতি ততটাই বিরক্ত। কর্মীদের বিরক্তির কারন না হয়ে তাদের গ্রোথ এ সাহায্য করুন। তাদের ব্যক্তিগত জীবনে বাধা না হয়ে তাদের ঢাল হওয়ার চেষ্টা করুন।

হেড অব বিজনেজ, মেন্টোরিয়ান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...