গারো সমাজ ব্যবস্থা কি মাতৃ - তান্ত্রিক না মাতৃ-সূত্রীয়? সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গারো সমাজ ব্যবস্থা কি মাতৃ - তান্ত্রিক না মাতৃ-সূত্রীয়?

গারো সমাজ ব্যবস্থা কি মাতৃ - তান্ত্রিক না মাতৃ-সূত্রীয়?

আমাকে কেউ যদি এই প্রশ্ন করেন, আমি এক কথায় বলব, "না"। 

গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃ-তান্ত্রিক(Matriarchal) নয় বরং মাতৃ - সূত্রীয় (Matrilineal)। এই দুই এর মধ্যে বেশ তফাৎ আছে।  মাতৃ - তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার প্রধান থাকেন মা, কিন্তু গারোদের পরিবার প্রধান থাকেন বাবা-ই। বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী ড রবিন বারলিং, ড মিল্টন এস সাংমা, ড জুলিয়াস এল আর মারাক গারো সমাজ ব্যবস্থাকে মাতৃ - সূত্রীয়(Matrilineal) বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।




তাঁরা গারো সমাজে পুরুষকেই পরিবার প্রধান (Head of the family) বলেও উল্লেখ করেন। বাস্তবেও গারো সমাজে পুরুষ পরিবারের প্রধান হিসেবে সকলকে শাসন ও দেখাশুনা করেন। পুরুষ তাঁর ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীকে শাসন করতে পারেন কিন্তু নারী তাঁর স্বামীকে শাসন করতে পারেন না। এর জন্য তাঁকে 'চ্রা' দের উপর নির্ভর করতে হয়।   


 
এই অংশের লেখাটি গারো সমাজের তরুণ সমাজের জন্য আজকে (৩ ডিসেম্বর ২০২০) লিখছি! গত কয়েকদিনে অন্তত ২০ টি ফেইসবুক পেইজ আর গ্রুপে 'মান্দি সংস্কৃতি' নিয়ে কিছু শিক্ষিত, অশিক্ষি্‌ অসভ্য এবং বর্বর মানুষ ট্রল করেছে। তার উত্তরে আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজ প্রতিবাদ জানিয়েছে লেখার মধ্য দিয়ে।  এক বিষয় বেশ সুস্পষ্ট যে আমাদের নতুন প্রজম্ম অনেক শিক্ষিত এবং সচেতন। তাদের সাধুবাদ জানাতেই হয়। 

কিন্তু একটি বিষয় আমাকে খুব অবাক করেছে! অন্ততঃ ৯০% ছেলে-মেয়ে তাদের লেখায় উল্লেখ করেছে, গারো মাতৃ - তান্ত্রিক সমাজে মা (মাতা) পরিবার প্রধান! কেউ কেউ তাদের লেখায় গারো বা মান্দি পরিবারকে 'মাতৃ - প্রধান' পরিবার বলে তাদের লেখায় উল্লেখ করেছেন। 
আমি মনে করি এখানে আমাদের বুঝার ভুল ২ টি রয়েছে। আমি মনে করি এই দুই টি বিষয় আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত! 

প্রথমতঃ গারো সমাজ মাতৃ - তান্ত্রিক (Matriarchal) নয়, মাতৃসূত্রীয় (Matrilineal)।  
দ্বিতীয়তঃ গারো সমাজে পরিবারের প্রধান মা বা মাতা নন। পিতাই পরিবারের প্রধান (Head of the family)। 

অনেকে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবে, আমি ৪৫ বছরের  দেখা, নিরীক্ষণ (Observation), জানা, শু্না এবং বই পড়ার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয়েই লিখছি, গারো সমাজ মাতৃ - তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নয়। 

কেউ যদি দ্বিমত পোষণ করতে চান, তবে প্রথমে মনোযোগ দিয়ে নীচের উদ্ধৃতিগুলো পড়বেন। 

Dr. Robbins Burling, Professor Emeritus, University of Michigan, "The Strong Women of Modhupur" বই এর ৪১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, "The Garos are Matrilineal."
উল্লেখ্য Dr. Robbins Burling সারাজীবন নৃবিজ্ঞান এবং ভাষাতত্ব বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি তাঁর এই বইটি লেখার পূর্বে ৫০ বছর গারোদের নিরীক্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। 

Garo Customary Laws and Practices বইটিতে  Dr. Julius L. R. Marak ১৪৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন,
"According to the Garo Customary Laws and Practices, the woman is the real owner of property. The man is the mere custodian and guardian of the property as the head of the family." 

তিনি বইটির ১৬৩ পৃষ্ঠায় আরও লিখেন, "The position of a husband in the Garo society is high and respectable. The father of the house being the sole guardian and proprietor of the house, has full authority to manage the household affairs of the house with no interference whatsoever from anyone."

"The position of the Garo man in the family is clearly indicated in the following words which the Garos hold most dear. Such expressions used amongst the tribe are - HEAD OF THE HOUSE or family (Nokni Skotong), Master or Guardian of the house (Nokni Nokgipa), Patriarch of the family (Nokni Padot)."

According to the Garo Customary Laws and Usages, although he is the HEAD OF THE FAMILY, he has no right to the possession of property whatsoever. However, under certain circumstances the Garo husband also has right to posses property."

এভাবে দেখা যায়, তিনি তাঁর লেখায় অনেক বার গারো পুরুষকে পরিবারের প্রধান (Head of the family) বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু মেয়েদেরকে পুরুষদের অধীনস্থ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে গারো নারী-পুরুষেরা বাস্তবিক পক্ষে কেউ কাউকে কারোর অধীন মনে করেন না এবং সে রকম আচরণ করে থাকেন না। তাঁরা বরং একে অপরের পরিপূরক মনে করেন। 

এবার গারোদের নিয়ে পি এইচডি করা ড মিল্টন এস সাংমা লেখা History and Culture of the Garos: Dr. Milton S. Sangma বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি দেয়া যাক।
১৪৮ পৃষ্ঠায় তিনি উল্লেখ করেন, " In the case of the heiress (Nokma) and her husband (Nokkrom) who are the destined to succeed as heads of the family ..." [" উত্তরাধিকারী এবং তাঁর স্বামীর ক্ষেত্রে যারা পরিবার প্রধান হওয়ার জন্য নির্ধারিত ...]

১৪৮ পৃষ্ঠায় তিনি উল্লেখ করেন, The place of the husband in the family is firmly established after his marriage. In the case of the Nokkrom (the husband of the heiress), he is placed in the second seat among the members of the house, next to his father-in-law." [বিয়ের পরেই স্বামীর অবস্থান পরিবারে পাকাপোক্ত হয়। নক্ক্রম এর ক্ষেত্রে, শ্বশুরের পরেই তাঁর স্থান।"] তাঁর অর্থ হল, মা'য়ের অবস্থান পরিবারে ৩য় যদি সে পরিবারে নক্ক্রম থাকেন। 
১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, "The wife is subordinate to him in spite of uxorilocal residence." [ তাঁর (পুরুষের) জম্মস্থান ছেড়ে আসলেও স্ত্রী তাঁর অধীন।]

ড মিল্টন এস সাংমা এবং ড জুলিয়াস এল আর মারাক দু'জনেই গারোদের উপর ব্যাপক গবেষণা করে ডক্টরেট করেছেন। Professor Robbins Burling ৫০ বছর শুধু গারোদের নিয়েই গবেষণা করে জীবন পার করেছেন। তাঁদের তিন জনের মতামতের উপরে মতামত দেওয়ার মত পন্ডিত আমাদের নেই! 

গারো সমাজের আসল সৌন্দর্য লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...