ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার জায়গা করে নিলেন ৭ গারো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার জায়গা করে নিলেন ৭ গারো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী

গারো নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর জায়গা করে নিলেন ৭ গারো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। তাঁরা সকলেই ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গারো শিক্ষার্থীদের পদচারণা নিয়ে ফেইসবুক পেইজ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গারো পরিবার" থেকে সংবাদ টি জানা যায়। গারো নিউজ টুয়েন্টিফোর নিউজ ডেস্ক থেকে পেইজের সেলফোন নাম্বারে ফোন করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তরঙ্গ রেমা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র, ফোন ধরেন এবং সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

যে ৭ জন ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেন তা হলেন সুজানা চাম্বুগং, ফার্মেসী বিভাগ; চমক জাম্বিল, মৎস বিজ্ঞান বিভাগ; মানসী নকরেক, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ; রপু মাংসাং, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ; নিউ নকরেক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং শাশ্বতী রেমা, ইতিহাস বিভাগ এবং অনাম হাউই, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ।

উল্লেখ্য, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে গারো ছাত্র - ছাত্রীর সংখ্যা ৫0 জন।

সুজানা সিলভিয়া চাম্বুগং
সুজানা সিলভিয়া চাম্বুগং এর গ্রামের বাড়ি জয়ড়ামকুড়া, উপজেলা হালুঘাট এবং জেলা ময়মনসিংহ। পড়াশুনা করেছেন বনানী বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে। তাঁর জন্ম ঢাকাতেই কিন্তু চমৎকার মান্দি ভাষায় কথা বলেন।
অবসর সময়ে গান গাইতে ভালোলাগে, আবৃত্তি করতেও পছন্দ করেন। মা জবা চাম্বুগং একটি প্রাইভেট স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা। বাবাও একটি স্কুলের শারীর চর্চা শিক্ষক এবং ফুটবল কোচ।
অবসরে বই পড়তে ভালোলাগে। আঁকাআঁকি করতেও বেশ পছন্দ করেন।
জীবনের লক্ষ কী প্রশ্ন করতেই হাসতে হাসতে বললেন, ভাল মানুষ হতে চাই, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। 
সিলভিয়া আমেরিকা যেতে চান মাস্টার্স করার জন্য। আমেরিকায় গিয়ে উচ্চতর পড়াশুনা, গবেষণা এবং পিএইচডি করতে চান সুজানা সিলভিয়া
মান্দিদের নিয়েও কাজ করতে চান এই মেধাবী গারো মেয়ে। তাকে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন আপনি মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান? তাঁর উত্তর ছিল, কারণ আমি মান্দিদের 'Root Belong' করি!
শ্বাসতী রেমা
দূর্গাপুর উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার মেয়ে শ্বাসতী রেমা। পড়াশুনা করেছেন শহীদ পুলিশ স্মৃতি উচ্চ স্কুল এন্ড কলেজ এবং হলিক্রশ কলেজ, ঢাকায়।
প্রিয় বিষয় ছিল লজিক এবং ভূগোল।
অবসর সময়ে শ্বাসতীর গান গাইতে ভাল লাগে। ভালোলাগে আবৃত্তি করতেও।
বিসিএস দিয়ে কলেজ শিক্ষক হতে চান। ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ারও ইচ্ছে রয়েছে।
মা - স্বাতী জাম্বিল এবং বাবা প্রলয় চিসিম। বাবা গারোদের মধ্যে প্রথম এএসপি পুলিশ (বিসিএস) ছিলেন। এখন এডিশনাল ডি আইজি অব পুলিশ, বাংলাদেশ।
অবসর সময়ে বই পড়তে, গান শোনতে এবং ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। ঘুরতেও ভালোলাগে।
মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান, লেখা-লেখি করতে চান ভবিষ্যতে। বিভিন্ন ফোরামে মান্দিদের কথা বলতে চান।
                 চমক জাম্বিল
চমক জাম্বিল এর বাড়ি কলমাকান্দা উপজেলার নলছাপড়া গ্রামে। নেত্রকোনা জেলা। পড়াশুনা করেছেন নলছাপড়া হাই স্কুল এবং নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ। প্রিয় বিষয় ছিল জিওলজি।
অবসর সময়ে গল্প বই পড়তে এবং গান গাইতে ভাল লাগে। ভালোলাগে আঁকাআঁকি করতেও। ফুটবল খেলতেও বেশ ভালোলাগে। বিসিএস দিয়ে মৎস্য অথবা পুলিশ ক্যাডার-এ যোগ দিতে চান। মা - শেলী জাম্বিল একজন গৃহিণী। বাবা পালু নকরেক প্রাইভেট জব করেন। মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান, মান্দিদের মৎস চাষ-এ উৎসাহিত করতে চান।
নিউ নকরেক
নিউ নকরেক এর জন্ম এবং বেড়ে উঠা মধুপুরের শালবনে। আবিমার ধরাটি গ্রাম। উপজেলা মধুপুর, জেলা টাঙ্গাইল। দরিদ্র পরিবারে জন্ম এই গারো মেধাবী ছাত্রের।
পড়াশুনা করেছেন পীরগাছা সেন্ট পলস হাই স্কুল এবং ঢাকা নটর ডেম কলেজে। প্রিয় বিষয় ছিল ইংরেজি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রিয় বিষয় পান নি বলে থেমে যেতে চান না তিনি। অবসর সময়ে বই পড়তে ভাললাগে। ভালোলাগে বন্ধুদের আড্ডা এবং ক্রিকেট খেলতে। হারমুনিয়াম এবং তবলা বাঁজাতে ভালোবাসেন। মা পিমলা নকরেক গৃহিণী এবং বাবা পিউস মৃ কৃষক। বেশীর ভাগ সময়েই বাবা অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান।
অনেক সময়ই কবি এবং গল্পকার ফিডেল ডি সাংমা তাকে পড়াশুনায় বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেন। তাই আচ্চু ফিডেল ডি সাংমার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ তিনি। মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান, লেখা-লেখি করতে ইচ্ছে করে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে আছে কলেজ পড়তে না আসলে জানাই হত না! গ্রামের মানুষ এগুলো জানেন না। তাই গ্রামের গরীব ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কাজ করতে চাই, তাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে চাই।
মানসী নকরেক
মানসী নকরেক এর গ্রামের বাড়ি মনতলা, কলমাকান্দা থানার নেত্রকোনা জেলায়। পড়াশুনা করেছেন বিরিশিরি মিশন গার্লস হাই স্কুল এবং হলিক্রশ কলেজ, ঢাকায়।
স্বপ্ন দেখেন পড়াশুনা করে বিসিএস দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবেন।
অবসর সময়ে গান গাইতে ভাল লাগে, আবৃত্তি করেন। ভাওয়ালী গান খুব টানে।
মানসীর মা দীপ্তি নকরেক হেলথ সেক্টরে জব করেন। বাবা বিনয় ঘাগ্রা ২০১৭ সালে স্ট্রোক করে মারা যান। সেই থেকে তাঁর মা-ই সব।
স্ট্রোক করে প্যারালাইসিসে ভোগে বাবা মারা গেছেন এটা তাকে অনেক পীড়া দেয়।
মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান, লেখা-লেখি করতে চান ভবিষ্যতে।
                    অনাম হাউই
অনাম হাউই এর গ্রামের বাড়ি হালুয়াঘাটের সংড়া গ্রামে। তবে তাঁর জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকা তিলোত্তমা নগরীতেই। ২ ভাই বোন এর মধ্যে অনাম বড়। ছোট বোন নবম শ্রেণীতে পড়ছে।
পড়াশুনা করেছেন গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এবং সাউথ পয়েন্ট কলেজ, বারিধারায়। প্রিয় বিষয় - ইংরেজি। ডিটেক্টিভ হতে চান। গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালোলাগে। অবসর সময়ে ঘুরতে এবং মুভি দেখতে ভালোলাগে। ভালোলাগে ছবি আঁকতেও। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। মা - লিমা হাউই , প্রাইভেট জব করেন এবং বাবা - আলেক জান্ডার রেমাও জব করেন প্রাইভেট কোম্পানিতেই। মান্দিদের নিয়ে কাজ করতে চান, লেখা-লেখি করতে চান। সকলের প্রার্থনা চান যেন ভাল মানুষ হতে পারেন সবার আগে!
           রপু মাংসাং 
রপু মাংসাং নটর ডেম কলেজ, ঢাকায় পড়াশুনা করেছেন।  তাঁকে আমরা ফোন করেছি বার বার। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায় নি! সম্ভবত তিনি নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তাঁর মিনি ইন্টার্ভিউ ছাপা হবে।  

সংবাদ টি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন ... 

দৃষ্টি আকর্ষণঃ  

১। বাবুল ডি' নকরেক - এর ছোট গল্প গুচ্ছের ই-বুক এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন। 
২। বাবুল ডি' নকরেক -এর লেখা 'Web Development & Dream Career' অডিও সহ ই-বুক পাওয়া এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন ।
 ৩। বাবুল ডি' নকরেক এর "সবার জন্য পাইথন প্রোগ্রামিং" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন। 
৪।  বাবুল ডি' নকরেক এর "জাভা প্রোগ্রামিং ফর নন-প্রোগ্রামার্স" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...