জীবন যেখানে যেমনঃ জীবনের নির্যাস থেকে কিছু কথা সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জীবন যেখানে যেমনঃ জীবনের নির্যাস থেকে কিছু কথা

 আজকে ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টার্ডামের ৩৯০ বছর পূর্ণ হইল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন কারনে তা নিয়া লেখি না সাধারণত। কিন্তু বলতে দ্বিধা নাই যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। এবং আজকে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিদেশে (আসলে, ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে) উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীদের কিছু পরামর্শ দিবো। তবে, এই পরামর্শ শুধু তাদের জন্যে, যাদের পড়াশোনা ও গবেষণার প্যাশন আছে। কম আইএল্টস স্কোর নিয়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশে যাওয়া যায়, কোন দেশে পড়ালেখার পর সেটলড হওয়া সহজ, এই ধরণের ব্যাপারগুলা যাদের প্রধান চিন্তার বিষয়, এই পরামর্শগুলা তাদের জন্যে নয় (বলতাছি না যে এই ব্যাপারগুলা নিন্দনীয়, যাস্ট উদ্দেশ্য হিসাবে আলাদা)।

পরামর্শগুলা হইলঃ
১। স্কুল জীবন থেকে পরিকল্পনা শুরু করুন। নাইলে বেহুদা অনেক সময় নষ্ট হবে। আপনি বাংলাদেশের মানুষ। প্রিভিলেজের অভাবে উন্নত বিশ্বের সমান মেধার শিক্ষার্থীদের চাইতে অনেক পেছন থেকে আপনার দৌড় শুরু করতে হবে। সুতরাং, যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু করাই ভাল।
May be an image of 5 people and outdoors







পারভেজ আলম,আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র 













ছবিঃ
ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টার্ডামের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের সাথে। তখন এই বিষয়ের উপরে একটা মাইনর করতাছিলাম। সময়কালঃ ২০১৯।
২। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়ছেন, তাতে ভাল গ্রেড থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে জিপিএ ৫ ব্যাপারটাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে হিসাব করাই ভাল। না পাইলে ভেঙে পড়বেন না। দেশের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করলে জিপিএ ৫ এর চাইতে কিছু কম পাইলেও অসুবিধা নাই। শুধু খেয়াল রাখবেন, গ্রেড যেন খুব বেশি নিচে নাইমা না যায়। এভারেজে ১০ এ ৮ রাখার চেষ্টা করুন। অন্ততপক্ষে ৭.৫। এইটুকু থাকলে দুনিয়ার যেকোন ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন বা স্কলারশিপ অর্জনের প্রথম ধাপটা পুরণ হয়ে যায়।
৩। প্রথমে নিজের পছন্দের বা প্যাশনের ডিসিপ্লিনটা খুঁজে নেন (এমনকি তা যদি ইন্টারডিসিপ্লিনারি কোন পড়াশোনাও হয়)। তারপরে দেখেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে তা ভাল পড়ায়। তারপরে সেইগুলাতে এপ্লাই করেন। ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কোন দেশে, তা একটা সেকন্ডারি ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা সাধারণত এর উলটা কাজটাই করে। তবে, আপনার যদি পড়াশোনার নেশা থাকে, গবেষণার ইচ্ছা থাকে, তবে এই উল্টা পথে না হেটে নিজের প্যাশনের পেছনে সময় দেন। ঐটাই সবচাইতে প্রাইমারি কাজ।
৪। আইএল্টসে টার্গেট রাখবেন মিনিমাম ৭। কোন পরীক্ষাতেই যেন ৭-এর নিচে না নামে স্কোর, তা খেয়াল রাখবেন। এইটুকু বজায়ে রাখলে, আপনার এভারেজ ৭-এর উপরে উঠে যাবে খুব সহজেই। আর এই এভারেজ থাকলে দুনিয়ার সবচাইতে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতেও আপনি এপ্লাই করতে পারবেন। স্কলারশিপগুলাতেও। অন্তত, আইএলটস স্কোর কম থাকার কারনে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তখন আপনার নষ্ট হবে না।
৫। মনে রাখবেন, মোটিভেশনাল লেটার জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলায় সারা দুনিয়ার অনেক ভাল ভাল শিক্ষার্থীরা এপ্লাই করে। ফলে কম্পিটিশনও হয় অনেক। কিন্তু কনফিডেন্স হারাইবেন না। আপনার মোটিভেশন যদি ঠিক ঠাক থাকে, তাইলে এই কম্পিটিশনে জেতার সম্ভাবনা বেশ ভাল। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধায় মোটেই পিছায়া নাই। তারা পিছায়া থাকে প্রস্তুতিতে। একটা ভাল মোটিভেশনাল লেটার তাই অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সমান মেধা ও গ্রেডের অন্যদের সাথে কম্পিটিশনে আপনাকে অনেকখানি আগাইয়া দেবে একটা ভাল মোটিভেশনাল লেটার।
৬। যেই সাবজেক্টে পড়তে চান, তা নিয়া গবেষণা করা (মানে, যথাসম্ভব জানার চেষ্টা করা ঐ বিষয়ে) শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, কোর্স কারিকুলাম, ইত্যাদির পেছনে সময় দেন। এই প্রক্রিয়াটা যতো আনন্দদায়ক হবে, আপনার মোটিভেশন লেটারটাও ততো বেশি জেনুইন এবং ফলপ্রসূ হবে। ফোকাস ঠিক রাখেন। নিজের প্যাশনের নার্চার করেন। প্যাশন নাই এমন কিছুর পিছে যদি সময় না দেন, এবং শুধু প্যাশন অনুযায়ীই ফোকাস ঠিক করেন, তাইলে মোটিভেশন লেটারটা জোর করে লেখা লাগবে না। এমনি এমনি বের হয়ে আসবে। সুতরাং, বি জেনুইন।
৭। এপ্লাই করার সময় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বয়স, র‍্যাংকিং এইগুলা দেইখা ঘাবড়াইয়েন না। আপনার পছন্দের সাবজেক্ট যদি দুনিয়ার সবচাইতে টপ র‍্যাংকড বিশ্ববিদ্যাগুলাতেই ভাল পড়ায়, এবং আপনার ঐ পছন্দের সাবজেক্টের সাথে যদি আপনার জ্ঞান, মেধা, প্যাশন ইত্যাদি ম্যাচ করে, তাইলে ঐটাই আপনার বিশ্ববিদ্যালয়। এমন হইতে পারে যে, আপনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইলেন না, কিন্তু সেকন্ড বেস্ট কোথাও পাইলেন। সেইটাও অনেক ভাল ব্যাপার হবে।
৮। নেতিবাচক বন্ধুদের সাথে সথাসম্ভব কম চলুন। বাংলাদেশে আপনার আশেপাশের বন্ধুদের একটা বড় অংশই জীবনে আপনার একটাও প্রশংসা করবে না। কিন্তু সুযোগ পাইলেই নানান নেতিবাচক কথা বলে আপনার কনফিডেন্স ভেঙে দিতে চাইবে। তার মানে বলছি না যে খালি তাদের সাথেই চলুন, যারা খালি আপনার প্রশংসাই করবে। চলুন তাদের সাথে, যারা প্রজ্ঞাবান। যারা আপনার সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা, দুইটা নিয়েই সৎভাবে আপনাকে পরামর্শ দেবে।
আমি যখন আবার পড়ালেখায় ফেরার পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম, তখন একদিন এটিএম গোলাম কিবরিয়ার সাথে আলাপ করতাছিলাম। কিবরিয়া তখন অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স করতাছিল। সে আমাকে বললো দুনিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে এপ্লাই করা শুরু করতে। তো, এই টাইপের পরামর্শগুলা আসলে খুব উপকারী। আপনার নিজের কনফিডেন্স বেশি থাকলেও দরকারী। আর আমার আরেকজন বন্ধু, ফাহিমা দূররাত, তাকে এই ব্যাপারে ধন্যবাদ দিলেও ছোট করা হবে। বলা যায় একাডেমিক পড়াশোনার লক্ষ্য, কনফিডেন্স ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রেই আমার উপর তার বিশ্বাসটা বড় ধরনের প্রণোদনা হিসাবে কাজ করছিল ঐ সময়।
তো, বন্ধু ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা মাথায় রাখবেন। ঐ বন্ধুদের সাথেই বেশি চলুন, যারা আপনার স্বপ্নটাকে ধারণ করতে পারে। বা অন্তত সম্মান করতে পারে। তাদের সাথে কম চলুন, যারা আপনার স্বপ্নকে খুন করে ফেলবে। অবশ্য বাংলাদেশের সমাজে আমাদের এমন অনেক নেতিবাচক বন্ধু থাকবেনই, কিছু করারও নাই। তাদেরকে আদর করুন। তবে মাথায় উঠতে দিয়েন না। দ্যাটস অল।
৯। এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজও খুব গুরুত্বপূর্ণ হইতে পারে। বিশেষ করে, আপনি যদি হিউম্যানিটিজ বা সোস্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। আমি আমার ডিপার্টমেন্টে (সংস্কৃতি বিশ্লেষণ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্লেষণ) এমন শিক্ষার্থী কমই পাইছি, যাদের একের অধিক গুন নাই। লেখক হিসাবে পোর্টফলিও থাকাটা এইখানে আমার এডমিশনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে। তবে, এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজ করতে গিয়া একাডেমিক পড়ালেখার ক্ষতি কইরেন না আর কী।
১০। পড়াশোনায় গ্যাপ থাকলে বেশি দুশ্চিন্তা কইরেন না। কেন না, কোন ভাল বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনায় গ্যাপ বা বয়স বিবেচনা করে ডিসক্রিমিনেশন করবে, সেই সম্ভাবনা খুব কম। এই ধরণের ডিসক্রিমিনেশন তাদের পলিসি বিরুদ্ধ।
১১। সবশেষে, যদিও না বললেও চলতো, তাও বলে রাখি। এডমিশন থেকে শুরু করে অন্যান্য সবকিছুর পেছনে নিজে সময় দেন। কোন তথাকথিত এডমিশন এজেন্সির কাছে যাইয়েন না। সিনিয়র ভাই বোন যারা দেশের বাইরে পড়াশোনা করছেন আপনার পছন্দের বিষয়ে, তাদের সাথে প্রয়োজনে আলাপ করতে পারেন। কিন্তু, আপনার নিজের লেগে থাকা ও নিজের মতো সবকিছু জানার চেষ্টা করাটাই সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এইসব ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল না হইতে পারেন, বা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মতো কনফিডেন্ট না হইতে পারেন, তাইলে আসলে উপরের কোন পরামর্শই আপনার জন্যে নয়।


দৃষ্টি আকর্ষণঃ  
১। বাবুল ডি' নকরেক - এর ছোট গল্প গুচ্ছের ই-বুক এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন। 
২। বাবুল ডি' নকরেক -এর লেখা 'Web Development & Dream Career' অডিও সহ ইবুক পাওয়া এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন ।
 ৩। বাবুল ডি' নকরেক এর "সবার জন্য পাইথন প্রোগ্রামিং" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন। 
৪।  বাবুল ডি' নকরেক এর "জাভা প্রোগ্রামিং ফর নন-প্রোগ্রামার্স" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...