ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,
গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।
জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে। এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।
হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।
তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস বলেন আর গাসু বলেন, কিংবা ট্রাইবাল বলেন তাঁরা প্রভাবশালী লোকজন থাকলে একটু পরেই আসবেন। আগে নিজেদের সংগঠিত হতে হয়। এইসব সংগঠন কেবল মান্দি ছেলেদের দ্বারা ধর্ষিত হলেই সাহস দেখাতে পারে। ধর্ষক বাঙ্গালি হলে লেজ গুটিয়ে বসে থাকে! কোন মান্দি ছেলে এই কান্ড করলে এতক্ষণে বাগাছাস-গাসু ঘার ধরে থানায় নিয়ে যেত! আর এখন খা সাংমা, খা মারাক বলে চেঁচানোর মানুষ নাই। আমরা কার কাছে আমাদের অসহায়ত্বের কথা বলব? ভরসা করার মত নেতা আমাদের নেই!"
এমন মন্তব্যকে কোট করে আমরা প্রায় সব সংগঠনের অন্তত ১০ নেতাকে মন্তব্য করতে বলি 'দ্য গারোজ টুয়েন্টিফোর এর নিউজ ডেস্ক থেকে। কিন্তু বাগাছাস এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং টিডব্লিউএ এর একাংশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক অঞ্জন ম্রং ছাড়া আর কেউ রিপ্লাই করেন নি।
তিনি বলেন, "সে (সেরেজিং) যদি সার্বিকভাবে ভেবে এমন কথা বলে থাকে তাহলে আমি বলবো, সে ঠিক কথা বলেনি। আর একান্ত ব্যক্তিগত মত প্রকাশ হলে বলবো, আমরা গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে আজও ক্ষুদিরাম, মানবতার বন্ধু জুলিয়ান আসাঞ্জকে খুঁজে পাইনি। পেয়েছি এবং ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছি মনের অজান্তে সাম্রাজ্যবাদের ধব্জাধারী লোভবাদী কিছু গারো নেতাদের।
যার ফলে গারোদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় অঙ্গনে পলে পলে, পদে পদে বিভক্তি, ভাঙ্গন।"
অন্য নেতাদের প্রতিক্রিয়া আমরা এখানে যুক্ত করব খুব শীঘ্রই।
ধর্ষকদের অতিসত্বর গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক, ছাত্র এবং সামাজিক সংগঠন গুলো যদি নিরভ থাকে তাহলে এমন অন্যায় আরো বেড়ে যাবে।
উত্তরমুছুনসাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে
মুছুন