"শুধু দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই!" এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"শুধু দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই!" এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ

 এক 

"শুধু দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই!"

জনৈক মেধাবী ছাত্রের এমন পোস্টার ফেইসবুকে দেখে আমি অবাক হই নাই! কারণ এমন পোস্টার আমি প্রায় ৩০ বছর আগে সাটিয়েছিলাম বড় মগ বাজারের আসে পাশে। তবে কথা গুলো ছিল একটু ভিন্ন! আমি লিখেছিলাম ... 

"ফ্রি পড়াতে চাই! " 

এতে সাড়াও পড়েছিল। কেন ফ্রি পড়াতে চেয়েছিলাম? উদ্দেশ্য ছিল একটি। সেটি হল ফ্রি পড়িয়ে প্র্যাকটিস করে নেয়া । সেমিনারী (খ্রিস্টানদের যাজক হতে যেখানে পড়াশুনা করতে হয়) থেকে বেরিয়ে এসেছি বলে বাড়িতে জায়গা হয় নাই! আমার একটা বিশ্বাস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পারলে বাবার মন গলতে পারে, বাড়ি যাবার অনুমতি মিলতে পারে ভেবেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমি ধরেই নিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে বাড়িতে আর জায়গা হবে না! কিংবা ভর্তি হতে পারলেও টাকার অভাবে আমার পড়াশুনা হবে না যদি ২-১ টা টিউশনি জোগাড় করতে না পারি! 

                                 মডেলঃ হৃদি চিসিম দমি 

তাই ফ্রি পড়াতে চাইলাম। একটা ফ্রি পড়াতে গিয়ে যদি আরেক টা ১০০০ টাকার টিউশনি জোগাড় করে নিতে পারি!  একটা টিউশনি জোগাড় করতে পারলে আসে পাশে আরেকটা পাওয়া যাবেই বলে আমি খুব কনফিডেন্ট ছিলাম! 

দুই 

আমি তখনও মিথ্যা কথা বলা শিখি নি! তাই ছাত্র-ছাত্রীর বাবা মা যখন ইন্টারভিউ নিতেন তখন সত্যি কথা বলে দিতাম। আমার টিউশনি না হবার কারণ ছিল ---- 

১) আমি বাবা-মা'য়ের অবাধ্য ছেলে, তাই আমার কাছে ছাত্রছাত্রী পড়াবেন না 

২) আমি মাদ্রাসা ফেরত ছাত্র (সেমিনারি কী জিনিস বুঝাতে না পারলে আমি সহজ করে বলতাম খ্রিস্টানদের মাদ্রাসা!) নিশ্চয়ই ভাল কাজ করে বাইরে আসে নাই 

৩) তুমি পার্টটাইম কর যেখানে, সেখানকার টেলিফোন ব্যবহার করেছ, কিন্তু অফিসকে না জানিয়েই! আল্লাহ!  

তিন 

আমি বাংলা - জার্মান সম্প্রীতি তে পার্টটাইম করতাম। সপ্তাহে ৩-৪ দিন গেইট পাহারা দিতাম এবং পাশাপাশি রিশিপসনিস্ট গিরি করতে হয়। কাজেই আমার অফিসের টেলিফোন ব্যবহার করে টিউশনির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম! কিন্তু অফিসের কাউকে না জানিয়েই! সকাল ৮-২ টা পর্যন্ত যখন ডিউটি করতাম তখন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতাম , স্যার আমাকে আপনার ছেলে-মেয়ে পড়াতে নিলেন না কেন, জানতে পারি প্লিজ?  

তখন ছাত্র - ছাত্রীর বাবা - মা উপরের ঐ কথাগুলো বলতেন। তখন মনে হত, " দুর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য" ভাব সম্প্রসারণ যে পড়তাম সেটা ঠিক! বাবা মায়ের কথা না শুনে সেমিনারি থেকে চলে এসেছি বলে আমি 'দুর্জন' এর কাতারে পরে গেলাম! আরেক টা হল 'মাদ্রাসা' থেকে বের ক্রে দিয়েছে মানে 'কিছু একটা' তো করেছি! 


চার 

কথা গুলো এজন্য বলে নিলাম, আমি যা বলতে চাইছি, তা বুঝাতে একটু সহজ হবে। ১৯৯৩-৯৪ সালে কোন সোশাল মিডিয়া ছিল না, আমি যা বলেছি ইন্টারভিউ'র সময় তা দিয়েই আমার চরিত্র, আমি কেমন তা যাচাই করেছিলেন তখনকার অভিভাবকগ্ণ! তাঁরা আমাকে তাঁদের ছেলে-মেয়ে পড়ানোর চাকুরী দেন নি!   

আমার চরিত্রের যে দোষ তাঁরা পেয়েছিলেন --- 

১) তুমি অবাধ্য ছেলে! তোমার কাছে পড়তে দিলে আমাদের ছেলেমেয়েরাও এটাই শিখবে! 

২) মাদ্রাসা ছেড়ে এসেছ! তুমি তো তাহলে ভাল ছেলে না! 

৩) না বলেই তুমি অফিসের টেলিফোন ইউজ কর, না জানি আরও কি কি কর! ইত্যাদি 

ভাল মত খেয়াল করুন কথাগুলো। খুব সিম্পল কিন্তু সাঙ্ঘাতিক! 

পাঁচ 

যা পাওয়া গেল তা হল 'ফ্রি' হলেও চরিত্রহীন মাষ্টার রাখব না! টাকা বেশী লাগলেও চরিত্রবান মাষ্টার চাই! এই তো মূল কথা, তাই না?

আমি অনেক ভেবে দেখলাম --- অভিভাবকদের কথা ঠিক! আমি বাবা-মা'য়ের অবাধ্য ছেলে তখন, মিথ্যে কথা তো বলেন নাই! আমি 'মাদ্রাসা' ফেরত, সেটা সত্যি! আমি না বলেই 'চুরি' করে অফিসের টেলিফোন ব্যবহার করেছিলাম, খুবই সত্যি কথা! 

ভেবে ঠিক করলাম এবার প্রায়শ্চিত্ত করব! প্রথমে বাপ-মা'য়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে পাঠালাম। অফিসে জানাইলাম না জানিয়েই ফোন টা ব্যবহার ক্রে ফেলেছিলাম, আমি খুব অন্যায় করেছি। এজন্য দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী! 

এতে ২ টা লাভ হল। ১) বাবা লিখে পাঠালেন, "ভার্সিটি চান্স পাইলে সব মাফ! না পাইলে বাড়ি আসবানা আর!" যাক অন্তত একটা সুযোগ আছে। ভালমত পড়াশুনা করলে বাড়িতে যেতে পারব। বাড়ি যেতে পারলেই খরচ টাও আনতে পারব! 

২) যেহেতু আয় বাড়ানোর জন্য আমি চেষ্টা করছিলাম, তাই অফিস আমার আরও ২ দিন কাজ বাড়িয়ে দিল। ভেবেছিলাম পার্টটাইম টা চলে যাবে। সততা দেখানোয় পুরস্কার মিলেছিল। 

এর কয়েকদিন পর ভর্তি রেজাল্ট হল। ইংরেজি বিভাগে জায়গা হল। ভর্তির আগেই একটা ভাল টিউশনিও হল। ঐ ১ টিউশনিতেই অনার্স, মাস্টার্স পার করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাটিয়ে এসেছি! ভাল পড়ালে কেউ ভাল মাষ্টার ছাড়তে চান না ! আমি এই টিউশনি আরেকজনকে দিয়ে এসেছিলাম ... 

ছয় 

শিরোনামের ছাত্র টি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স - এ সারা দেশে প্রথম হয়েছেন বলেছিলেন! কিন্তু দেখা গেল তাঁর কলেজেই সে ২২ তম। সারাদেশে হয় তো ১০০ তে নেই। 

ছাত্র জীবনে শুধু খেটেছেন গাধার মত, পড়াশুনা করেছেন খুব, ভাল রেজাল্ট করেছেন সত্যি। বিজ্ঞাপন টা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আমি ছেলেটার খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছিলাম। প্রথমেই তাঁর ফেইসবুক অয়ালে গিয়ে থমকে গেলাম! এত বিচ্ছিরি তাঁর সব পোস্ট! জঘন্য, নোংরা! একজন  মেধাবী মানুষের স্ট্যাটাসগুলো এত কুৎসিত! একে কে চাকুরী দিবে? 

একটা স্ট্যাটাস পোস্ট দেখিনাই যে টা মানুষের জন্য! সব তাঁর নিজের জন্য এবং একটাই ধারণা পাওয়া যায় ছেলেটির চরিত্র 'বিশেষ কিছু না !' 

সাত 

স্কুল - কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র - ছাত্রীদের বলি, তোমার ফেইসবুক অয়াল দিয়েই এখন তোমার চরিত্র বিচার করবে । সো, কীপ ইট নীট এন্ড ক্লিন (ফুল স্টপ)। 

ছাত্র - ছাত্রী থাকতেই নিজের স্কিল ডেভেলপ করবে। ভাল ছাত্র - ছাত্রী হলেই কোম্পানিগুলো তোমার উপর হামলে পড়বে না। ভদ্র লোকের যদি একটা ভাল স্কিল থাকত, এতদিনে দাঁড়িয়ে যেত। 

তাই বলি, এখন ইউটিবে সব কিছুর ভিডিও টিউটোরিয়ালস পাওয়া যায়। তুমি ইচ্ছে করলেই গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং এগুলোর যে কোন একটি স্কিল ডেভেলপ করতে পার। 

একা একা শিখতে পারছ না? হেল্প দরকার? সাহায্য চাও? জাস্ট কল নকরেক আইটিঃ   +880 1941-274290

Emil : nokrekitofficial@gmail.com 

আবারও বলি, পড়াশুনার পাশাপাশি একটা স্কিল ডেভেলপ কর । তা না হলে ঐ আলমগিরের মত দশা তোমার জীবনেও নেমে আসতে পারে। তোমারও এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে দুই বেলা ভাত চাইতে হতে পারে ! 

তুমি কি এমন পোস্টারের সংখ্যা বাড়াতে চাও? ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরী করতে চাও? চয়েজ ইজ ইয়রস!    

-----------------------------------------------------
বিজ্ঞাপনঃ 
আপনি কি প্রকাশক হতে চান? আমার লেখা থেকে বাছাই করা সেরা গল্প নিয়ে 'জলময়ূরী' ছোট গল্পগুচ্ছের আরেক টি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত! কেবল একজন প্রকাশকের অপেক্ষায়! 
বইটির ৭ ফরমা (১১২) পৃষ্ঠার হবে। 
গল্পগুলো ইতোপূর্বে দেশ সেরা পত্রিকা 'প্রথম আলো' এবং কলকাতার সাহিত্য সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে! 
আগ্রহী যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন এই ইমেইল এড্রেস-এঃ amiogolpoboltechai@gmail.com  
------------------------------------------------------ 
দৃষ্টি আকর্ষণঃ 
১। বাবুল ডি' নকরেক - এর ছোট গল্প গুচ্ছের ই-বুক এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন। ২। বাবুল ডি' নকরেক -এর লেখা 'Web Development & Dream Career' অডিও সহ ইবুক পাওয়া এখন গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে! বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন । ৩। বাবুল ডি' নকরেক এর "সবার জন্য পাইথন প্রোগ্রামিং" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন। ৪। বাবুল ডি' নকরেক এর "জাভা প্রোগ্রামিং ফর নন-প্রোগ্রামার্স" কোর্সে ভর্তি হতে এখানে ক্লিক করুন


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...