নিজস্ব প্রতিবেদক, গায়রা, মধুপুর থেকে
মধুপুর শালবনের ভেতর গায়রা গ্রামে গ্রামীণ ফোন, প্রথম আলো, নকরেক আইটি এবং এলাকাবাসীর একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরামর্শ সভায় গ্রামীণ ফোনের সি ই ও ইয়াসির আজমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে নকরেক আইটির সিইও সুবীর জেভিয়ার নকরেক সভাপতিত্ব করেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নকরেক আইটির এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট - এর মেন্টর জেস এন্ড্রোজ।
নকরেক আইটির সিইও তার বক্তব্যে বলেন, "৫ বছর আগে যখন নকরেক আইটি ইনস্টিটউট শুরু করি, তখন এত কিছু ছিল না। কাজ করা এত সহজ ছিল না। গ্রামে এসে নেটওয়ার্ক না পেয়ে যখন মাঠে, ধান্যের খেতে গিয়ে কাজ করতাম তখন অনেকেই ল্যাপটপ নিয়ে শো-অফ করছে বলে ঠাট্টা করতেন। এখন কিন্তু আমরা এই বনের ভেতর থেকেই পৃথিবীর ২০ টি দেশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি! বাংলাদেশের ৪ টি জেলায় ৫ টি ব্রাঞ্চে ৩০ জন যুবক আমার সাথে কাজ করছেন যাঁদের সবাই নকরেক আইটি তে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।"
প্রথম আলোর প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিবেদক রাহিতুল ইসলাম রুয়েল তাঁর বক্তব্যে বলেন, "প্রায় ৪ বছর আগে আমি নকরেক আইটি এবং সুবীর নকরেককে নিয়ে প্রথম আলোতে প্রথম নিউজ করেছিলাম। তারপর আমি উনার কাজ গত ৪ বছর ফলো করেছি। অতঃপর এই মাসে প্রথম পাতায় নিউজ করেছি। প্রথম আলো নকরেক আইটির কাজ, কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত এবং গর্বিত।"
CEO, গ্রামীণ ফোন এবং CEO, নকরেক আইটি ইনস্টিটিউট
গ্রামীণ ফোনের সি ই ও তাঁর বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়ে গারো ভাষায় বলেন, "নাসং নাম্মি দংআমা?" গারো ভাষায় যার অর্থ , " আপনারা কি ভাল আছেন?" সবাই উৎফুল্ল কণ্ঠে এক সাথে উত্তর দেন , "নাম্মি দংআ? নাআ নাম্মি দংআমা?"
তিনি উত্তর দেন,"হো'য়ে নাম্মি দংআ!" মানে , "হ্যাঁ আমি ভাল আছি!"
তিনি সবাইকে জানান, আমি এই ২ টি বাক্য শিখেছি! গারো ভাষা এত মধুর, মধুপুরের মতই মিষ্টি।
তিনি বলেন, আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি কিন্তু আমাকে এত আপন করে কোথাও গ্রহণ করেনি । আমি এখানে আসতে পেরে খুব আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত, গর্বিত। আমাদের নয় , আপনাদের সুবীর নকরেককে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনি নিজের জন্য, ওপরের জন্য কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছেন এটা বনের ভেতরের থেকে মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব। আপনারা নেটওয়ার্কের যে সব সমস্যার কথা বলেছেন তা আমাদের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নোট নিয়েছেন। আমরা শুধু গায়রা নয়, আরও ৪-৫ টা জায়গায় স্থায়ী টাওয়ার স্থাপন করে আপনাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য কাজ করব। গায়রাতে যে টাওয়ার স্থাপিত হয়েছে তা অস্থায়ী কিন্তু খুব শীঘ্রই আমরা এটাকে স্থায়ী করার জন্য কাজ করব। এতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা লাগবে। এর জন্য জমি লাগবে, সরকারের অনুমতি লাগবে।
অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষক ডেভিড চিরান , ফ্রিল্যান্সার ডিনা মৃঃ, বিজয় হাদিমা, পরিতোষ সিমসাং, হিমালয় নকরেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।
বিস্তারিত আসছে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting