নিজস্ব সংবাদ দাতা,
"খুঁজে লাভ নেই, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে!" এমন স্ট্যাটাস দিয়ে খুন হয়ে যাওয়া বর্মণ আদিবাসী মেয়ের ছবি তারই ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছে খুনি!
অপহরণের শিকার বর্মণ আদিবাসী মেয়ের ছবিশেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা এমন চাঞ্চল্যকর এবং দুঃখজনক সংবাদের জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, মেয়েটি এবারে এস এস সি পরীক্ষার্থী ছিল। এই স্কুল স্কুলছাত্রীকে অপহরণের তার ফেসবুকেই ওই ছাত্রীর মুখ ওড়নাতে বাঁধা একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে মেয়েটির নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, "সিল্মিকে (ছদ্মনাম) খুঁজে লাভ নেই, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী ওর বাবা-মা।"
খুন হয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রীর মা জানান, গত রবিবার সকাল ১০টায় মোবাইলে স্কুলে বৃত্তির টাকা দেওয়ার কথা বলে ফোন দেয়। সিলমি বেড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি।
বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সিলমির।
ধারণা করা হচ্ছে সিলমিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবা এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেছেন।
সিলমি'র এক ভাই গাজীপুরে গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেছেন, "কয়েকদিন আগে গাজীপুরে বাড়ি মেহেদী নামে এক লোক মোবাইলে কল করে আমাকে বলেন, আপনার বোনের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়। তারপর আমরা ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছি। আপনার বোন আমার মায়ের সঙ্গে অনেক কথা বলেছে। এখন আপনার বোন অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে বলে শুনেছি। এটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "আমাকে যে নম্বরে ফোন করা হয়েছিল, সেই একই নম্বর থেকে আমার মাকে ফোন করে ওইদিন আমার বোনকে স্কুলে ডেকে নেওয়া হয়। এরপরই আমার বোনকে অপহরণ করা হয়েছে।"
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহমেদ বাদল বলেন, আমরা মেয়েটির মুখবাঁধা ছবিটি পেয়েছি। এক্সপার্টদের সবকিছু দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই এদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রথমে মেয়েটিকে গারো আদিবাসী মনে করা হলেও পুলিশ বলছে মেয়েটি গারো (মান্দি) নয়, বর্মণ (মান্দাই)।
কৈফিয়তঃ মেয়েটিকে প্রথমে মান্দি (গারো) আদিবাসী মেয়ে হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নিশ্চিত হয়ে আমরা ভুল সংশোধন করে বর্মণ (মান্দাই) উল্লেখ করেছি। ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting