ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নতুন একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম রিলিজ করতে যাচ্ছিঃ ওয়ারী নকরেক সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নতুন একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম রিলিজ করতে যাচ্ছিঃ ওয়ারী নকরেক

'রেরে ব্যান্ড' গারোদের মিউজিক ব্যান্ডগুলোর মধ্যে সুপরিচিত এবং সিনিয়র ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য গারো ব্যান্ডদগুলো যেখানে গারো মৌলিক গান ছাড়াও বাংলা গান গাওয়ার চেষ্টা করে, রেরে ব্যান্ড এখনো গারো ব্যান্ডদল হিসাবে মান্দি গান নিয়ে কাজ করেই নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করে চলেছে। 

   ওয়ারী নকরেক 
রেরে ব্যান্ড এর লীড গিটারিস্ট ও ভোকাল ওয়ারী নকরেক গারো নিউজ ২৪ এর মুখোমুখি হয়েছিলেন আজ! সমসাময়িক গারোদের মিউজিক নিয়ে কীর্তি, বিতর্ক, সামাজিক মাধ্যমসহ নানান বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সিনিয়র রিপোর্টার তপন হাগিদক এর সাথে.... 

প্রশ্নঃ কেমন আছেন? রেরে ব্যান্ড গঠনের শুরুর দিকটা বলবেন কি?

- ভাল আছি।
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা যখন মানিক মিয়া এভিনিউ টিএনটি মাঠে চা আড্ডা দিতাম তখন আড্ডার ফাঁকেই একটা গারো ব্যান্ড দল করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তখন থেকেই আমরা আমাদের এক্টিভিটিস শুরু করে দেই। তবে স্টেজ শো সম্ভবত দুই বছর পর থেকে করেছিলাম ওয়ানগালাতে। 

প্রথম দিকে এক সিনিয়র বড় ভাই তৃপ্ত তাঁতারা চিরান দাদার ভোকাল হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম ভোকাল হিসেবে স্টেজে পারফর্ম করেছিলো ভাস্কর হাচ্চা দাদা..... 

প্রশ্নঃ আপনি গানের জগতে আসলেন কীভাবে? কোথাও শিখে এসেছেন না জন্মগতভাবে প্রতিভা......

 - জন্মগত প্রতিভা হতে যাবে কেনো? যখন ব্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করি তখন থেকেই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হই। মানে গান বাজনা করতে হলে তো আমাকে আগে গান বাজনা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, তাইনা? 

ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা এবং মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা আমার একই সাথে হয়েছিল। প্রথমে ব্যান্ডের গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করলেও আমাদের ভোকাল ব্যান্ড থেকে লিভ নেওয়ার পর থেকে নিজেই ভোকাল হিসেবে কাজ করা শুরু করেছিলাম। এভাবেই আমার মিউজিকে উঠে আসা.... 


 সংসারেক মিচিক, রেরে ব্যান্ডের সাম্প্রতিক গান

প্রশ্নঃ দীর্ঘদিন ধরেই তো দেখছি রেরে ব্যান্ডের কোন নতুন গান কিংবা এক্টিভিটি চোখে পড়ছে না। এর কারন কী? আর্থিক মানসিক না দলগত.... 

 - এই তো এক বছর আগে একটা মিউজিক ভিডিও অফিসিয়ালি পাবলিশ করেছি এবং তার তিন মাস পরেই আবার একটা লিরিক ভিডিও রিলিজ করেছি। মানে মাত্র সাত মাস হয় আমাদের গান রিলিজ হয়েছে!! অনেক দিন হয় না এমন তো না? একটা ব্যান্ড বছরে একটা দুইটা গান রিলিজ দেওয়া কি যথেষ্ট না? মিউজিক ছাড়াও আমাদের অনেক কিছু করার আছে দৈনন্দিন জীবনে। যারা মিউজিক নিয়ে পড়ে থাকে তারাও বছরে দুই একটা গানই রিলিজ করে এর বেশি না। 

প্রশ্নঃ শুনেছি রেরে ব্যান্ড এর সাথে আগের দলগত ভাঙন নাকি হয়ে গেছে! কেন ঘটলো? অনেকেই অভিযোগ করেছেন ভাঙন টা আপনার কারণে নাকি? এব্যাপারে কিছু বলুন... 

 - পৃথিবীর এমন কোন ব্যান্ড নাই যে প্রথম প্রতিষ্ঠাকালিন মেম্বার নিয়েই সব ঠিকঠাক আছে! ব্যান্ড ভেঙে যাওয়া আবার নতুন মেম্বার আসা এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপারের মধ্যেই পরে। ব্যান্ড ভেঙে গেলে সেটা যে কারোর কারণেই ভেঙে যেতে পারে সেইটা হতে পারে আমার কারণে অথবা আরেকজনের কারণে। আমি তো আমার জায়গায় বলতেই পারি আমার কারণে ব্যান্ড ভেঙে যায় নি। আবার অপরপক্ষে বাকী মেম্বাররাও বলতে পারেন আমার কারণেই ব্যান্ড ভেঙে গেছে। সবাই যার যার জায়গায় ঠিক। এইসব দোষারোপ করা আমার একদম পছন্দ না আমি নিজেও সাবেক মেম্বারদের দোষারোপ করিনি কখনো.... 


প্রশ্নঃ গত দু'বছর আগেও আরেকজন সিনিয়র শিল্পী টগর দ্রং (সলো গায়ক) বলেছিলেন... দলগতভাবে মিল না হলে ব্যান্ড হয় না ওয়ারী সেটা হয়ত বুঝে না... এ ব্যাপারে এখনো আপনার মন্তব্য কী? এখনো নাকি রাগ অভিমান আছে। ফেইসবুক পোস্টেও নাকি খুব রিয়েক্ট করেছিলেন? -টগর দা যেহেতু আমাদের ব্যান্ড মেম্বার না এবং আমাদের ব্যান্ডের খুঁটিনাটি কিছুই জানেন না।সেহেতু তিনি এমন মন্তব্য করতেই পারেন! জানেন না বলেই ফেইসবুক পোষ্টে রিয়েক্ট করেছিলাম।

যেহেতু আমি ব্যান্ডের লিড দিতাম সেহেতু ব্যান্ড নিয়ে খুব স্ট্রিক। আমি আগেই বলেছি ব্যান্ড ভেঙে যাওয়া কিংবা নতুন মেম্বার আসা এগুলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
কোন ব্যান্ডই আসলে মেম্বারদের অস্তিত্ব দিয়ে বাঁচে না বাঁচে তাদের সৃষ্টি দিয়ে। এখন আমি ভোকাল আছি আমি যদি ব্যান্ড থেকে লিভ নেই তাহলে দেখা যাবে সাবেক ভোকাল এসে ব্যান্ড কন্টিনিউ করছে। কারণ রেরে'র প্রতি প্রতিটি সাবেক সদস্যদের মনে সফট কর্ণার আছে। তার মানে কি দাড়ালো ওয়ারি ছাড়াও ব্যান্ড কন্টিনিউ হবে এবং অন্যান্য সদস্যদের ছাড়াও ব্যান্ড চলবে। দরকার শুধু ব্যান্ডের প্রতি ভালোবাসা.... প্রশ্নঃ দীর্ঘদিন ধরেই মিউজিক নিয়ে কাজ করছেন। ব্যান্ড আগলে ধরে রাখার চেষ্টাও করছেন। আপনার ব্যান্ডের সফলতা ব্যার্থতা সম্পর্কে কী বলবেন? - আমি সফল অসফল এইসব নিয়ে চিন্তা করি না। আমি আমার জায়গায় সফল, আমি যা করতে চেয়েছি তাই করতে পেরেছি এবং করে যাচ্ছি। অন্যান্য বাইরের মানুষের কাছে আমি অথবা আমাদের ব্যান্ড অসফল মনে হতে পারে সেটা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
যেখানে ব্যান্ড মিউজিক সহজে মানুষ শুনতে চায় সেখানে আমাদের অফিসিয়াল পেইজ অথবা চ্যানেল গুলো তো যথেষ্ট ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে, সেখানে আমাদের মিউজিক ভিডিও গুলো হাজারো লাখো গারো এবং অ-গারোদের কাছে পৌচ্ছে গেছে এগুলো তো এমনি এমনি হয় না নাকি? প্রশ্নঃ রেরে ব্যান্ড যথেষ্ট পরিচিত এখন মান্দিদের মধ্যে... নতুন যারা ব্যান্ড গড়ছে ও নতুন গান সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করছে সিনিয়র হিসাবে আপনার কোন পরামর্শ কিংবা মন্তব্য? - নতুন যারা ব্যান্ড মিউজিক করছে তাদের জন্য একটাই পরামর্শ, বেশি ভাব না নিয়ে আগে ভালো মিউজিক করতে হবে, সিনিয়রদের সন্মান করতে হবে। তাহলেই তারাও সন্মানিত হবে সহযোগিতাও পাবে। জুনিয়র মিউজিসিয়ানদের একটা বিষয় আমি খেয়াল করেছি যে ব্যান্ড পারফর্ম করেছে মাত্র কিন্তু ওদের ভাবসাব এমন তারা প্রমিনেন্ট মিউজিসিয়ান হয়ে গেছে!! অথচ দেখা যাবে নিজস্ব কোন গান নাই, মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট পর্যন্ত ধার করে প্লে করে অনেকেই..... কথা গুলো লেইম মনে হলেও এগুলো বলা দরকার তাই বলছি।
আমরা প্রায় ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে মিউজিক করে টিকে আছি আমাদের অভিজ্ঞতা আছে কতদূর দৌড়াতে হয় জানি!
কথা গুলো এই কারণে বললাম যে অনেক রকমের ফালতু কথা আমি শুনেছি আমাদের ব্যান্ড নিয়ে। যার কোন অর্জনই নাই সে আরেকটা ব্যান্ডের জাজ হয়ে বসে আছে আশ্চর্য হই! খুব স্ট্রাগল এর মধ্যে দিয়ে মিউজিক করে এসেছি, টিকেও আছি। সুতরাং কাউকে জাজ করার আগে তাঁদের স্ট্রাগল সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিৎ।
তাঁছাড়া অনেকেই না জেনে ব্যান্ডের গান জাজ করে ফেলে। এগুলা ঠিক না। যেমন ধরেন আমরা ডুম ও ফোক মেটাল করি কিন্তু আমাদের জাজ করে বসে আছে রক, পপ, ক্লাসিক গান শোনা মানুষ গুলো! প্রশ্নঃ নতুন গারো ব্যান্ডগুলোর মধ্যে কোন গারো ব্যান্ডদল ভালো করছে বলে মনে হয়? -যেহেতু আমি আলাদা অন্যদের মতন মিউজিক করি না। অন্য জনেরা কেমন করলো এগুলো জাজ করা আমার কাজ না। মন্তব্য করতে চাই না। প্রশ্নঃ আপনার ভোকাল নিয়েও অনেকে নানান প্রশ্ন তোলেন... আচিক উচ্চারণ নাকি হয় না? লিরিক স্রোতা ঠিক বুঝতে পারে না! অটো টিউন ব্যবহার করেন এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী? - বাংলাদেশের গারোদের মধ্যে কতিপয় কয়েকজন ব্যতীত আমার মনে হয় না আমার থেকে কেউ গারো বলতে এবং লিখতে পারেন! পক্ষান্তরে আমি নিজেও গারো লিটারেচারের বই ন্যাশনাল কারিকুলাম টেক্সট বুক বোর্ড, বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত বই গুলোর একজন কর্মী। সোজা কথায় বলতে গেলো গারো শিশুদের জন্য যে বই গুলো তৈরী করা হচ্ছে সেই বই গুলোর ইলাস্ট্রেটর আমি। সুতরাং আমার উচ্চারণ হয় না, লিরিক হয় না, বুজতে সমস্যা হয় এমন কথা যারা বলেন সমস্যা হইতো তাদেরই মনে করি।
হয় তো তারা ঠিক মত গারো ভাষায় কথা বলতে পারেন কিন্তু গারো ভাষা ভালো মত রপ্ত করতে পারেন নি। মৌখিক ভাষা আর লেখ্য ভাষার পার্থক্য থাকে। আমি যখন লিরিক লিখি তখন সব সময় চেষ্টা করি লেখ্য ভাষায় লিখতে, চেষ্টা করি গারো লিটারেচার অনুস্মরণ করতে।
একজন কবির সব ভাষা সাধারণ পাবলিকের সহজে বুজতে সমস্যা হবে এইটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? সহজে বুজতে পারে না বিধায় মনে করেন লিরিক হয় নাই, উচ্চারণ হয় না এমন অনেক কিছু। অন্য একজন শিল্পীর সাথে আমার পার্থক্য এখানেই। ত আমি মেটাফরিক শব্দ গুলো ব্যবহার করে থাকি ভাষাবিদ না হলে সেগুলোর অর্থ বুঝা সাধারণ একজন গারোর পক্ষে অসম্ভবের মতোই। এইসব শক্ত পোক্ত শব্দগুলো ব্যবহার করার এক মাত্র কারণ হচ্ছে শব্দকে বাঁচিয়ে রাখা। আমি চাই যে শব্দ গুলো মানুষ সহজে ব্যবহার করে না সেগুলো আমার গানেই বেচে থাকুক।
এছাড়া আমার ভোকাল নিয়ে যাদের আপত্তি তাঁদের কিছু বলার নাই কারণ তাঁদের রুচিসম্মত গান, মিউজিক, ভিডিও আমি করি না করবোও না।

আমার নির্দিষ্ট একটা সংখ্যার ফ্যান ফলোয়ার আছে আমার গান তাঁদের জন্য। সবাই আমার গান পছন্দ করবে এই আশা করা বোকামি ছাড়া কিছু না। প্রশ্নঃ গারোদের মধ্যে অনেকেই গান করেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে্ন.. আপনিও করছেন! এই গারোদের পুরো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি যদি ধরি.. আগামী দশ বছর পর গারোদের এই মিউজিক কোথায় দেখতে চান? আপনি তো বর্তমানে সিনিয়রদের একজন! - গারো মিউজিসিয়ানদের মধ্যে গান এবং মিউজিক ভিডিও করার যে প্রতিযোগিতা বিদ্যমান সেটা কন্টিনিউ করলে তো আগামী দশ বছরে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো! কিন্তু যে সকল গান এবং ভিডিও গুলো হচ্ছে সেগুলো তো প্রফেশনাল না? মানে নামে মাত্র মিউজিক ভিডিও করছে যেগুলো তে না ভালো ভিজুয়াল স্টোরি আছে, না গান ভালো হয়েছে, না ভিডিও কোয়ালিটি কিংবা ভালো ডিরেকশন! ভালো অভিনয়ও হয় না। আপাতত আশা নেই কিন্তু হতাশও নই।
প্রশ্নঃ রেরে ব্যান্ডের সাথে অন্যান্য পরিচিত গারো ব্যান্ডগুলোর মধ্যে পার্থক্য কী দেখেন আপনি? কী দেখেন! - পার্থক্য তো অনেক ভাবেই হয় যেমন পুরো গারো ব্যান্ড দলের মধ্যে আমরা ডুম এবং ফোক মেটাল টাইপের মিউজিক করি, সাংসারেক ফিলোসোফিতে গান গুলো করার চেষ্টা করি। সেখানে অন্যান্য ব্যান্ডের দলেরা রক, হেভি মেটাল, ক্লাসিক অথবা ফোক কিংবা বাংলা গান নিয়ে ব্যস্ত!
ওয়ারী নকরেক প্রশ্নঃ পরিশেষে যদি আপনাদের রেরে ব্যান্ডের কোন পরিকল্পনা কিংবা সুখবর থাকলে জানাতে পারেন.... - সুখবর অবশ্যই আছে, ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নতুন একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম রিলিজ করতে যাচ্ছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন কিছু আসতে চলেছে... দেখতে পারবেন।

পুনশ্চঃ সাক্ষাৎকার টি শেয়ার দিয়ে অন্যকেও পড়ার সুযোগ দিন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...