জেফিরাজ দোলন কুবি,
দৈনিক দেশবাংলা'র আবাসিক সম্পাদক (যুক্তরাষ্ট্র) হিসেবে যোগ দিয়েছেন বাবুল ডি' নকরেক। দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ফেইসবুক গ্রুপ এবং হেড অব নিউজ দেশবাংলা ফেইসবুক পেইজে এই সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আবাসিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি পত্রিকাটির ইউটিউব চ্যানেল-এর নেতৃত্ব দিবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নকরেক ছাত্র জীবনে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে ২০০০ সালের দিকে মফস্বল সংবাদ দাতা হিসেবে প্রথম আলো'তে কিছুদিন কাজ করেন। সেই সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্ধ্যা রানী সাংমা, রাশিমনি হাজং এবং মধুপুর বন এবং আদিবাসীদের নিয়ে অনুসন্ধানী মূলক (কামনাশীষ শেখরেরের সাথে বেশ কিছু যৌথ) সংবাদ অনেকের নজর কাড়ে।
বা দিক থেকে বাবুল ডি' নকরেক, স্বর্গীয় এড প্রমোদ মানকিন এমপি ও কামনাশীষ শেখর।২০০০-২০০১ সালে, রাশিমনি হাজং - এর উপর যৌথ প্রতিবেদন লিখতে প্রথম আলো'র টাঙ্গাইল জেলা সংবাদ দাতা কামনাশীষ শেখরের সাথে রানীখং গেলে প্রয়াত এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি'র নিমন্ত্রণে তাঁর মা'য়ের ভিটা বাড়ি খামারখালি গ্রামে।
পরবর্তীতে তিনি কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে সাপ্তাহিক এখন সময় পত্রিকায় প্রধান সহ-সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। পরবর্তীতে প্রথম আলো - উত্তর আমেরিকায় স্পেশাল করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২০ সালের শুরুতে কোভিড-১৯ শুরু হলে নিউ ইয়র্ক শহরের মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, জন মানব শূণ্য হয়ে পড়লে তিনি সরেজমিনে গিয়ে "ঘুমন্ত শহর দেখতে যেমন" লিখে তাঁর সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পাঠক মহলের প্রশংসা কুড়ান। কারণ কোভিড-১৯ এর ভয়ে তখন কেউ ঘর থেকেই বের হতেন না!
এছাড়াও প্রথম আলো'তে তাঁর লেখা বেশ কিছু ছোট গল্প, ফিচার, নিবন্ধ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। সেগুলোর মধ্যে জলময়ূরী, স্বপ্নফেরি, দহন, আমার বন্ধু সেরেজিং, একটি মিথ্যে গল্প প্রভৃতি হাজারো পাঠকের মন জয় করে নেয়।
সর্বশেষ ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখে দৈনিক দেশবাংলার আবাসিক সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্র, হিসেবে যোগ দান করেন।
পেশাগত জীবনে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (কনসাল্টেন্ট) হিসেবে কাজ করলেও বাবুল ডি' নকরেক বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তিনি গল্প, কবিতা, গান লিখেন। তাঁর লেখা অর্ধ শতাধিক গান গ্রামীণ, রবি, বাংলালিঙ্ক, টেলিটক সেলফোনে রিংটোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাবুল ডি' নকরেক এবং দৈনিক দেশবাংলা'র সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন (ভারপ্রাপ্ত) তাঁর যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা ছেড়ে তুলনা মূলক কম পরিচিত পত্রিকায় কেন যোগ দিচ্ছেন(?) এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দৈনিক দেশবাংলা একাত্তরের রণাঙ্গনের মুখপত্র। এই পত্রিকার রয়েছে দীর্ঘ ৫১ বছরের ঐতিহ্য এবং গৌরবের ইতিহাস। এই ইতিহাসের অংশ হতেই যোগ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। আবাসিক সম্পাদক হিসেবে কাজের পরিধি যেমন অনেক তেমনি পত্রিকাটির ইউটিউব চ্যানেলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ক্রিয়েটিভ কাজ করার সুযোগ থাকবে সীমাহীন। সেখানে একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। সর্বোপরি, সংবাদপত্র একটি রাষ্ট্রের চারটি মূল স্তম্ভের অন্যতম একটি যার উপর অটল দাঁড়িয়ে থাকে পুরোটা রাষ্ট্র। তাই সংবাদ-পত্রে কাজ করার বিষয় টা আমি সব সময়ই দেশের জন্য সরাসরি সেবাদানের সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting