এই বছরের নভেম্বর -ডিসেম্বর এর মধ্যেই বাগাছাস সেন্ট্রাল কমিটির এজিএম ও কাউন্সিল - লিংকন ডিব্রা সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এই বছরের নভেম্বর -ডিসেম্বর এর মধ্যেই বাগাছাস সেন্ট্রাল কমিটির এজিএম ও কাউন্সিল - লিংকন ডিব্রা

লিংকন ডিব্রা একজন সংগঠক এবং ছাত্র নেতা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একজন গারো ছাত্র সংগঠক হিসাবে বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং সংগঠনের অভ্যন্তরীণ নানান বিষয়াদি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন গারো নিউজ ২৪ এর সিনিয়র প্রতিবেদক তপন হাগিদকের সাথে।
লিংকন ডিব্রা
প্রশ্নঃ লিংকন ডিব্রা নিশ্চয় ভালো আছেন,প্রথমেই জানতে চাইবো বর্তমানে আপনি ও আপনার সাংগঠনিক কার্যাবলী কেমন চলছে? - এই তো আমি বেশ ভালো আছি ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আপনিও নিশ্চয় ভালো আছেন? আমি ও আমার সংগঠন বেশ ভালোই আছে, স্বাভাবিক কার্যক্রম যে রকম ছাত্র সংগঠনগুলো কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যায় ঠিক সেরকমই।

করোনাকালীন সময়ে আমাদের সাবেক লীডারদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে আমাদের মান্দিদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মধুপরের ভূমিগত ইস্যুতে অভয় দিয়ে চলেছি। এই সব ইস্যুতে আমরা একবিন্দু ছাড় দিতে রাজী নই।

মধুপুর থেকে শ্রীবর্দী যেখানেই সমস্যা সেখানেই পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এইরকম নানান কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের ছাত্র সংগঠন যেন গণমানুষের সংগঠন হয়ে উঠছে। খুবই আশাবাদী।
প্রশ্নঃ যতোটুকু জানি বর্তমানে আপনি থাকেন শ্বশুরবাড়ি। সেক্রেটারি ও সাংগঠনিক সম্পাদক থাকেন ঢাকায়। এইরকম অবস্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোন অসুবিধে হয় না? - দেখুন, আমাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যাবলী খোঁজ করলেই এরকম কিছু পাবেন। নিজেদের মধ্যে স্বাভাবিক যোগাযোগ থাকে, বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে অসুবিধা হয় না। করোনার কারনে হয়তো মিটিং সিটিং খুব কম হয়। তবে সবমিলিয়েই ঠিকঠাক আছে। প্রশ্নঃ অনেকেই বলছেন বাগাছাস দুই গ্রুপে বিভক্ত! লিংকন,অনুপ, ডেভিড এক প্যানেল আরেকগ্রুপ জন যেত্রা, অলিক গ্রুপ... এইরকম কেনো? বিষয়টি কিভাবে বলবেন? - বাগাছাস দুই গ্রুপ এইটা পুরোপুরি সঠিক নয়। আমি অনুপ হাদিমা, ডেভিড চিরান সাংবিধানিক ভাবে ২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছি। প্রভাষক সুবিট রখো দার বিদায়ী সময় এজিএম ও কাউন্সিলে বাগাছাসের ১৭টি শাখা ও দুই হাজার গারো ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণে প্রোগ্রাম সফল হয়। সে সময় বাগাছাসের অনেক সিনিয়র লীডারদের উপস্থিতিতে দায়িত্ব নিই। উপস্থিত ছিলেন বাগাছাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক স্বর্গীয় শুভ্র আরেং। তিনি আমাদের বর্তমান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, অস্বীকার করবেন কীভাবে? কিন্তু আমাদের আরেকজন বাগাছাসের সাবেক জনাব অন্জন ম্রং তাঁর কিছু সাপোর্টাররা পরে পকেট কমিটি বানায়, মেনে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন, এটাকেই আরেক বাগাছাস বলছেন কেউ কেউ! তবে ছাত্র সমর্থন তাঁদের নাই, পারলে আমাদের চ্যালেঞ্জ করুক যাচাই করুক। নিরাপত্তার ভয় পেলে নিরাপত্তার গ্যারান্টি আমি দিবো আসুক। প্রশ্নঃ প্রভাষক অন্জন ম্রং ও তাঁর সাপোর্টার, এই সাপোর্টাররা মূলত কারা পরিষ্কার করে বলবেন? - আরো দু'একজন সাবেক লীডার আছেন তবে উনাদের নাম নিতে চাই না। শুধুমাত্র বলবো অন্জন ম্রংকে যে রকম ভালোবাসি ঠিক সেরকম ঘৃণাও করি তাঁর কার্যক্রমের জন্য!
তবে উনাড় কাছে এরকম কিছু কখনো আশা করি নাই। প্রশ্নঃ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামকে আদিবাসীদের মাতৃ অভিভাবক সংগঠন বলা হয় কিন্তু সেখানে তাঁদের কার্যক্রমে আপনারা নাই কিন্তু জন যেত্রা গ্রুপ অংশগ্রহণ করছে বিষয়টি কিভাবে ব্যাখা করবেন? দূরত্ব....... - আদিবাসী ফোরাম আমাদের ডাকে না চিঠি দেয় না তাই যাই না, বিষয়টি উনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমরা আদিবাসী দিবসে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কিংবা আমাদের ব্রাঞ্চগুলো কিন্তু সবসময়ই নিজস্ব এলাকায় আদিবাসীদের অধিকার আদায় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে...... প্রশ্নঃ আপনি নিজে ছাত্রলীগ করতেন পরে হলেন বাগাছাসের সভাপতি! আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে তো ছাত্রলীগ বাগাছাসের কার্যক্রম সাংঘর্ষিক হবার কথা নিশ্চয়? - অনেক কার্যক্রমেই হয়ত সাংঘর্ষিক তাই বাগাছাসের প্রেসিডেন্ট হবার পর আমি ছাত্রলীগ করা ছেড়ে দিয়েছি মানে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমার বাপদাদা মা-ভাই সবাই তো আওয়ামিলীগ করি সেইটা তো অস্বীকার করতে পারি না! জন্ম থেকেই জয় বাংলা বলে অভ্যস্ত। প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান বাগাছাসের প্যানেলের সামনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই। - করোনার কারনে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে পিছিয়ে পরেছিলাম। তাই এই বছরের নবেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে সেন্ট্রাল কমিটির এজিএম ও কাউন্সিল দিয়ে দেবো।
যাতে করে বাগাছাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম আরো গতি পায়.... প্রশ্নঃ সংগঠনের জন্য পরিকল্পনা টা বাদ গেলো বোধহয়? - ও আচ্ছা। আমাদের বাগাছাস প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত আমাদের সংগঠনে নিজস্ব কোন ফান্ড নেই। নতুনদের জন্য সামান্য কিছু হলেও ফান্ড গঠন করে রেখে যেতে চাই। তাছাড়া আমাদের সংগঠনের কোন নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট নাই, অফিসিয়াল সাইটের কাজ চলছে শিঘ্রই প্রকাশ পাবে। প্রশ্নঃ গারোদের মধ্যে তো ছাত্র সংগঠন থেকে অবসর নিলে তো অনেকেই হারিয়ে যায় তবে সবাই না হয়ত, আপনার পরিকল্পনা কী? - গারোদের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম খুবই কম। নেতৃত্ব যখন ছোটবেলা থেকেই বড়দের দেখে শিখেছি... সেটাকে পুঁজি করেই যতোটুকু এগিয়ে যাওয়া যায় চেষ্টা করবো অবশ্যই দেখবেন..

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...