[ ২০০৯ সালের আদিবাসী দিবসে লেখা]
প্রতি বছরের মত এবারেও আমরা গারো আদিবাসীরা অন্য আদিবাসী সমাজের সাথে তালমিলিয়ে জাঁকজমক সহকারে, মহা-সমারোহে বিশ্ব-আদিবাসী দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। সকল আদিবাসীদের মত আমাদেরও একটাই দাবী “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি”। এই দাবী আমাদের সকল আদিবাসীদের প্রাণের দাবী, অস্থিত্বের দাবী, টিকে থাকার দাবী। এই দাবী পূর্ণ হউক আমরা সবাই তা অন্তর থেকে কামনা করি। কিন্তু আর একটা দাবী আমাদের সকল গারো পূরুষদের অন্তরে এবং মাথায় থাকলেও আমরা কেউই তার পক্ষে কথা বলতে চাইনা। আর তা হলো সম্পত্তিতে গারো পূরুষদের সমঅধিকার।
এই একবিংশ শতাব্দিতে দাড়িয়ে বিষয়টিকে নিয়ে উচ্চ-বাচ্চ করাটাও ঠিক নয়। যখন সাড়া পৃথিবীর নারীরা সমঅধিকারের জন্য আন্দোলন করছে, এ্যাডভোকেসী করছে, তখন গারো পূরুষরা তাদের দাবী আদায়ের জন্য এ্যাডভোকেসী করবে, লবিং করবে তাও খুব শ্রুতিমধুর হবে না। তাই বুঝি আমরা গারো আদিবাসী পূরুষেরা বুদ্ধিমানের মত চুপচাপ বসে আছি। ধন্য গারো আদিবাসী পূরুষেরা আমরা যারা চুপচাপ বসে আছি নিজেদের অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে। অন্য সমাজের কেউ জিজ্ঞেস করলে বলি, “না অনেক পরির্বতন হয়েছে, এখন ছেলেরাও মেয়েদের মত সমান সম্পত্তির অধিকার পায়”। সব মিথ্যে কথা। যদি কোন পূরুষ সম্পত্তি পেয়েও থাকে তবে তা তার মা বা বোনের করুণার জন্য। আর করুণা নয় অধিকার থাকতে হবে। আমরা অধিকার চাই। যা আইন ও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হবে। এখনই সময় সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে বিশ্বসমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সমাজকে ঢেলে সাজানো। আর তার জন্য চাই পরিবর্তন।
১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষনাপত্রে সকল মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মানবাধিকার ঘোষনা পত্রের (১৭) নং ধারায় বলা হয়েছে, ক) প্রত্যেকেরই একাকী এবং অপরের সহযোগিতায় সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার রয়েছে। খ) কাউকে তার সম্পত্তি থেকে খেয়াল খুশিমত বঞ্চিত করা চলবে না। কিন্তু গারো আইনে তার উল্টোতা বলা আছে। সম্পত্তিতো পাবেই না আর যদি নিজেদের কায়িক পরিশ্রমে কিছু অর্জণ করেও থাকে তাও তারা নিজেদের বলে দাবী করতে পারবে না। মানবাধিকার পরিপন্থি কাকে বলে! তাইতো মা-বাবা আদর করে ছেলে সন্তানকে সম্পত্তি দিলেও মায়ের মৃত্যুর পর বোনেরা বা মানকগ্রীরা (মায়ের আত্মীয় স্বজনেরা) তা দখল করে নেয় বা নেয়ার জন্য মামলা করে ইত্যাদি।
শ্রদ্ধেয় ফা: গিলিও কস্তা কর্তৃক প্রণিত ”The Garo Code of Law” বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে শ্রদ্ধেয় সুভাস জেংচাম লিখেছেন, “গারো সমাজ মাতৃপ্রধান। বংশধারা পিতার দিক হইতে না গুণিয়া মায়ের দিক হইতে গণনা করা হয় এবং মেয়েরাই পরিবারের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী। ছেলেরা কোন সময় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইতে পারে না, এমনকি বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে মাতৃগৃহে অবস্থানকালে ছেলেরা নিজের কায়িক পরিশ্রমে যাহা কিছু উপার্জণ করিয়াছে তাহাও তাহারা দাবী করিতে পারে না। বিবাহের পরে ছেলে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর গৃহে চলিয়া যায় এবং সেখানেই নতুন করিয়া ঘর সংসার পাতে। এই সময় স্ত্রীর মাহারীর লোকেরা তাহাদিগকে যথাসাধ্য সাহায্য করিয়া থাকে।” (গারো আইন: ৪৬)। “অন্যদিকে নিজের কষ্টার্জিত ভূসম্পত্তি বিক্রয় অথবা অন্য কোন রকম হস্তান্তরের বেলাতেও গৃহ কর্তাকে গৃহের নকনা এবং নক্রমের সম্মতি নিতে হইবে এবং সেই সময় নকনা এবং নক্রম বিরুধীতা করিলে উক্ত জমি বিক্রয় অথবা হস্তানর করা যাবে না। এই ক্ষেত্রে মাহারীর স্মরণাপন্ন হইতে হইবে এবং তাহারাই আলোচনা করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।” (গারো আইন:৫১)।
গারো পুরুষের অধিকার:
ক) কোন রকম সম্পত্তি সরাসরি পুরুষের অধিকারে থাকিবে না, যদিও পুরুষ পরিবারের প্রধান তত্বাবধায়ক হিসেবে পরিগণিত।
খ) কোন পুরুষ উত্তরাধীকারসূত্রে কোন সম্পত্তির অধিকারী হইবে না এবং দান সূত্রে বা অন্য কোন উপায়ে যদি কোন সম্পত্তি তাহার অধিকারে আসে তবে সে উহা তাহার মা অথবা স্ত্রীর কাছে জমা রাখিবে।
গ) কোন পুরুষ কাউকে দান অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন সম্পত্তি দিতে পারে না, যেহেতু সত্যিকারে সে কোন সম্পত্তির অধিকারী নহে।
ঘ) কোন পুরুষ নিজের কাছে কোন টাকাকড়ি রাখিতে পারে না। তবে কোথাও যাওয়ার জন্য যাত্রাখরচ বাবদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উপলক্ষে প্রয়োজনীয় টাকাকড়ি সে নিজের কাছে রাখিতে পারিবে (গারো আইন: ৫২)।
পান্থে গিতা (অবিবাহিত যুবকরূপে): অবিবাহিত অবস্থায় মাতৃগৃহে থাকাকালে ছেলে যাহা কিছু উপার্জণ করে তাহা মায়ের অধিকারেই থাকিবে। এই ক্ষেত্রে ছেলে মাতৃগৃহে থাকুক অথবা অন্যত্রই থাকুক তাহার উপার্জণের টাকাকড়ি সমস্তই মায়ের সম্পত্তি বলিয়া গন্য হইবে।
সাবালক ছেলে সম্ভব হইলে তাহার কায়িক পরিশ্রমের টাকায় গরুবাছুরও কিনিতে পারে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে উহা পরিবারের সম্পত্তি হিসাবে পরিগণিত হইয়া যাইবে (গারো আইন:৫২-৫৪)।
উপরে বর্ণিত সকল গারো আইন কতটুকু মানবাধিকারকে সংরক্ষণ করে তা পাঠকবৃন্দ আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। অন্যদিকে মানবাধিকার ঘোষনা পত্রের (১৬) নং ধারায় বিবাহের পছন্দের ক্ষেত্রে বলা আছে, ক) পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের জাতিগত, জাতীয়তা অথবা ধর্মের কারণে কোন সীমাবদ্ধতা ব্যতিরেকে বিবাহ করা ও পরিবার গঠনের অধিকার রয়েছে। বিবাহের ব্যাপারে, বিবাহ অবস্থায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদকালে তাদের সম-অধিকার রয়েছে। খ) কেবল বিবাহ ইচ্ছুক পাত্র-পাত্রীর অবাধ ও পূর্ণ সম্মতির দ্বারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে।
গারো আইনে বলা আছে, খ) বিধবার মেয়ে আছে কিন্তু বিবাহের বয়স হয় নাই, এই ক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে যদি পরিবারের নির্বাচিতা নক্না হইয়া থাকে এবং ‘সান্দিয়ানির’ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই যদি তাহার জন্য নক্রম্ নির্দিষ্ট হইয়া থাকে তবে মেয়ের বয়স যাহাই থাকুক না কেন বিধবাটি উক্ত নক্রম্কে বিবাহ করিবে এবং বয়স হইলে পর নির্বাচিতা নক্নাও উক্ত নক্রমের স্ত্রী হিসাবে পরিগণিতা হইবে (গারো আইন:৬২)। বিষয়টি যেমন মানবাধিকার লংঘন করে, তেমনি লজ্জাকর ও নেক্কারজনক।
গারো আইনে সম্পত্তির অধিকার হারানো:
ঙ) গারো আইনানুযায়ী পুরুষ কোন সম্পত্তির অধিকারী নহে, তবে সে পরিবারের সম্পত্তির তত্বাবধায়ক হিসাবে গণ্য। কিন্তু নিম্নলিখিত কারণসমূহের জন্য সে তত্বাবধায়কের অধিকারও হারাইবে। যথা:
৩) যদি সে একগুঁয়েমীভাবে শ্বশুরের মৃত্যুর পর শ্বাশুরীকে বিবাহ করিতে অসম্মতি প্রকাশ করে।
৪) যদি সে প্রথমা স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে স্ত্রীর মাহারীর কর্তৃক পছন্দকৃত দ্বিতীয়া স্ত্রী গ্রহণ না করিয়া নিজের পছন্দানুযায়ী অন্য মেয়েকে বিবাহ করে (গারো আইন:৭২)।
উপরোক্ত আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার ঘোষনা পত্রের (১৬) ও (১৭) নং ধারা লংঘিত হয়। মানবাধিকার ঘোষনাপত্রের ১৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, ক) প্রতিটি মানুষই ব্যক্তিগত এবং অন্যের সাথে যৌথভাবে সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকারী। (খ) অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কোন ব্যক্তিকেই তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। কিন্তু গারো আইনে পছন্দের অধিকার ও মত প্রকাশের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে।
তাছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বাংলাদেশ সরকারের দন্ডবিধিতে যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড সেখানে গারো আইনে জরিমানা ৫ থেকে ১৫ টাকা। নিম্নে গারো আইনের কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
সিক্দ্রা (বুকে হাত দেওয়া):
ইহা দ্বারা কোন মেয়ের শায়িতাবস্থায় জোরপূর্বক তাহার বুকে হাত দেয়া বুঝাইবে।
সালদ্রা:
১. চুম্না/জম্মা: রাতে অসৎ উদ্দেশ্যে কোন মেয়ের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করা।
২. সাল্গাংগিআ, সাল্মিত্তালা: বলপূর্বক শোয়ানো অথবা চিৎ করানো।
৩. রিম্খেপ্পা, সাল্লংআ, সাল্মিত্তালা: বলপূর্বক জড়াইয়া ধরা।
তেলেকমান্চা: (ধর্ষণ) যদি ব্যভিচারে যুবক কর্তৃক বল প্রয়োগ প্রমাণিত হয় তবে সেই ব্যভিচারী যুবক যুবতীটিকে ১৫ (পনের) টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য থাকিবে। (৫ পাঁচ টাকা মেয়ের মানহানি বাবদ এবং ১০ দশ টাকা যৌন সংসর্গ বাবদ (গারো আইন:৯-১১)।
উপরে বর্ণিত আইন সমূহ গারোদের মধ্যে সর্বজন গ্রাহ্য ও সরকার কর্তৃক সমর্থিত এবং সংরক্ষিত, যা ভারত সরকারের ১৯১৪ সনের ২৩ জুন তারিখের ৯৪০ নং বিজ্ঞত্তিতে উল্লেখ আছে। উক্ত বিজ্ঞত্তির মাধ্যমে গারোদেরকে ১৮৬৫ সনের ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন এবং পরবর্তীকালে ১৯২৫ সনে ঘোষিত আইনবিধি হতে রেহাই দেয়া হয়েছে।
এখন কথা হলো আর কতদিন আমরা এই আইন নিয়ে চলব। যে আইন সম্মুখে চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করে, এই আইন অবশ্যই সংশোধন করা আবশ্যক। বর্তমানে আমরা আমাদেরকে অনেক শিক্ষিত বলে জাহির করি। কিন্তু আমাদের মৌলিক বিষয়গুলো যদি পরিবর্তন না হয়, তবে সেই উন্নয়ন কতটুকুই বা ত্বরান্বিত হবে তা প্রশ্নবোধক! তাই অন্যান্য দাবী আদায়ের জন্য আমরা যেমন আন্দোলন করছি, ঠিক তেমনি আমাদের এই দাবী আদায়ের জন্যও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো করা যেতে পারে:
১. প্রতিটি পরিবারে বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করা এবং মা-বোনদের বিষয়টির ভালদিক ও মন্দদিক তুলে ধরা।
২. গ্রাম পর্যায়ে বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করা ও যৌক্তিকতা তুলে ধরা।
৩. উপজেলা পর্যায়ে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আন্দোলন গড়ে তুলা।
৪. গণস্বাক্ষর সংগ্রহ।
৫. জাতীয় সংসদে গারো আইনকে সংশোধনী আকারে উত্থাপনের জন্য যা কিছু করা দরকার তার সবকিছুই করা।
এখানে উল্লেখিত কাজগুলো করার জন্য গারো ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ আদিবাসী আইনজীবি সংগঠনকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। অনেক এনজিও আছে যারা আদিবাসীদের কথা ভাবে, তাছাড়া যারা উদ্যোগী হয়ে কাজে লিড দিতে চায় তাদেরকেও দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এখানে আমাদের সুবর্ণ সুযোগ ও আশার কথা যে, বর্তমানে আমাদের কমিউনিটি থেকে জাতীয় সংসদে মাননীয় সংসদ সদস্য আছেন, জাতীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দও আছেন। সুতরাং উনাদের মাধ্যমেই আমরা আমাদের কাজকে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস। প্রয়োজন উনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ও সমব্যাথীতা। গারো সমাজের মহান উদ্দেশ্য পূরণে এই ঐতিহাসিক সহযোগিতায় উনারা অবশ্যই পিছপা হবেন না বলে আমরা মনে করি।
পরিশেষে আবারও বলতে চায় যে, ভারতে ভারতীয় সরকার ১৮৬৫ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে তারা নারীদেরকে সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিয়েছেন। বাংলাদেশের বাঙালী নারীরাও সম্পত্তিতে সমান অধিকারের জন্য আন্দোলন করছে। যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে ও আন্তর্জাতিকভাবে সমান অধিকারের জন্য আন্দোলন করছে সেখানে আমাদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধ্বংস হবার কথা বলে পিছিয়ে থাকার আর কোন সুযোগ নেই।
গারোরা যত উন্নতিই করুকনা কেন গারো গারোই থাকবে, কৃষ্টি-সংস্কৃতি হারিয়ে যাবার কোন ভয় নেই। দরকার শুধু সময়োপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলা। গারো সমাজের সবকিছুকে বিশ্বের উপযোগী করেই সম্মুখের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাতে উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। তাই আবারও বলছি, গারো আইনের অনেক ধারা মানবাধিকার ও উন্নয়নের পরিপন্থি যা সংশোধন করা অতি আবশ্যক নয় কি?
লেখক পরিচিতি,
দানিয়েল ধৃতু স্নাল, উন্নয়ন কর্মী
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for supporting