গারোরা এখনো সংস্কৃতি কিংবা সাহিত্যচর্চায় আন্তরিকতার জায়গায় যেতে পারিনি - লেবিসন স্কু সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গারোরা এখনো সংস্কৃতি কিংবা সাহিত্যচর্চায় আন্তরিকতার জায়গায় যেতে পারিনি - লেবিসন স্কু

লেবিসন স্কু, তিনি কবিতা ও ছোট গল্প লিখতে পছন্দ করেন এবং গারোদের দ্বারা সম্পাদিত বিভিন্ন নিউজ ম্যাগাজিনের সম্পাদনার কাজেও জড়িত। তবে বেশি সংখ্যক কবিতা লেখা-লিখি চর্চার কারণে তিনি গারো সমাজে তরুণ সম্ভাবনাময় কবি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। "মানুষ এক অদ্ভুত সাঁড়শি অনুবাদক" একক কাব্যগ্রন্থ ও "প্রান্তিক স্বর" নামে যৌথ কবিতাগুচ্ছে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।


গারো সমাজে পরিচিত মুখ তরুণ কবি লেবিসন স্কু'র সাথে কথা বলেছেন গারো নিউজ২৪ এর প্রতিবেদক তপন হাগিদক। প্রশ্নঃ প্রথমেই জানতে চাইবো তরুণ কবি লেবিসন স্কু কেমন আছেন? তাছাড়া আপনার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সংক্ষেপে পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলুন। -আমি ভালো আছি কবিদের নাকি বাধ্যতামূলক ভালো থাকতে হয়। যাপিত জীবনে ভালো মন্দের নিবিড় যোগসূত্র তাই এটা কবিরা নাকি এড়িয়ে যান না তারা বিষয়টি উপভোগ করে থাকলে আমি বাদ যাবো কেন? আমি এখন প্রেমের কাব্য নিয়ে কাজ করছি যা ওয়ানগালায় বের হবে তখন জানতে পারবেন। প্রশ্নঃ আপনার কবিতা লেখালিখি চর্চার শুরুর দিকের গল্পটা জানতে চাই। তাছাড়া এতকিছু থাকতে কেন লেবিসন স্কু কবিতা লিখতে গেলেন? - যদি বলি প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই কবি। কবিতা আমাদের অন্তরে বিদ্যমান। যার হৃদয়ে পাখির, গাছের, পাহাড়, নদী,আকাশ প্রকৃতির প্রতি প্রেম আছে সেইতো কবি। কেউ কেউ হৃদয় থেকে নি:সরণ করে কাব্যে প্রকাশ করে। আমার ব্যক্তিগত মতে আমি জন্ম থেকেই কবি। কারণ আমি খুব ছোট বয়সে মানে ছ' থে সাত বছর বয়স হবে মায়ের সাথে ভারতে কাজ করতে যেতাম সেখানে পাহাড়ি টিলা, ঝরণা, গাছপালা, পাখির ডাক আমাকে কাছে টানতো মাকে প্রশ্ন করলে মা গভীর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো। আবার বাবার সাথে বিলে মাছ ধরতে যেতাম। সেখানে মাঝিরা শাপলা জটখোলে গান গেয়ে ছোট ডিঙা করে মাছ ধরতো । গ্রামের এই নিরন্তর ছবিগুলোই আমাকে কবি করে তুলেছে। আমি মনে করি কবিতার জন্যেই আমার জন্ম। প্রশ্নঃ গারোরা বাংলা ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রভৃতি চর্চা করার কারনে অনেকের মতে গারো কবি কিংবা সাহিত্যিক বলায় অনেকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী? - হ্যাঁ ভাষার জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকবেই। আমরা যারা অন্য ভাষাভাষি বাংলায় ভাষায় সাহিত্যচর্চা করি তা বাংলা ভাষায় আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণেই হচ্ছে। যদি আমরা নিজের ভাষায় চর্চা করতে পারতাম তাহলে গারো সাহিত্যগুলো এগিয়ে থাকতো এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়াগুলো হতো না। কারন আমাদের গারো ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই এই সীমাবদ্ধতা আমাদের মানতেই হবে। হয়তো আমাদের মাতৃভাষায় কবিতা লিখতে পারলো ভালো হতো এমনকি ভালোভাবে মনের ভাবটাও প্রকাশ করতে পারতাম। প্রশ্নঃ এই যে আপনার মতন যারা বাংলা ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস চর্চা করেন তাঁদেরকে গারো সমাজ কোন চোখে দেখে বলে আপনি মনে করেন কিংবা মূল্যায়নটা কেমন পায়? - কবি- লেখকদের সবসময় লেখালেখিটা মুল্যায়নের আশায় না করাই ভালো। তাহলে লেখাই আমিত্ব থাকে না বা থাকবে না তাহলে কিন্তু সমাজকে অথবা কাউকে মন যোগিয়ে চলার মতো হয়ে যাবে লেখা লেখির ধারাটা। বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা করা লোকদের মান্দি সমাজে মূল্যায়নতো খুব কমই করে থাকে। কারন গারোরা এখনো সংস্কৃতি, সাহিত্যচর্চায় আন্তরিকতার জায়গায় যেতে পারিনি। আর আমরা যারা গারো জনগোষ্ঠীর মানুষ বাংলায় সাহিত্যচর্চা করছি তাদেরকে বাঙালি সাহিত্য সমাজে একটু হেয় হয়ে চর্চা করতে হয়। এর কারণ মূল ভাষা থেকে সরে গিয়ে বাংলা ভাষায় চর্চা করার সীমাবদ্ধতা। প্রশ্নঃ আপনি কবিতা, ছোটগল্প প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি গারো ম্যাগাজিনে সম্পাদনার কাজেও জড়িত। তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই এই ব্যাপারে আগ্রহ নাই বলে অনেকে মত দিয়েছেন, তবে এ-ব্যাপারে আপনার মতামত কী? - এইক্ষেত্রে বলবো শুধু আমাদের মান্দি তরুণরাই নন, সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর তরুণরাই এখন সাহিত্যের প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে। আর আমরা কেমন জানি ভার্চুয়াল জগতে ঝুঁকে পড়ছি। তাছাড়া আমাদের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রটা কেন জানি তৈরি করে নিতে পারছিনা। প্রবীণ সাহিত্যিকরা নবীণ সাহিত্যিক তৈরিতে আন্তরিক বলে মনে হয় না আমার কাছে। এ ব্যাপারে আমাদের বিশদ ভাবা উচিত বলে মনে করি। প্রশ্নঃ আপনি একজন কবি হিসাবে গারোদের বাংলা ভাষায় কাব্য- সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় ভবিষ্যৎ কী কিছু দেখেন? - আমি আগেই বলেছি কবির কোন জাত-ভাষা নেই। যেহেতু আমাদের সমাজ আছে,নিজস্ব ভাষা আছে, সংস্কৃতি আছে, সাহিত্য আছে এগুলোর নিজস্বটা রক্ষার্তেই আমাদের বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা করা উচিৎ বলে মনে করি। বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা করলে আমাদের ভবিষৎ ভালো হবে না মন্দ হবে সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু আমাদের বর্ণমালার সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে বাংলাতে সাহিত্য চর্চায় কোন ভুল কিছু দেখি না। প্রশ্নঃ অনেকেই বলে থাকেন কবিতার প্রধান উৎস হচ্ছে প্রেম। কবি লেবিসন স্কুর প্রেমের কোন গল্প কিংবা কবিতার উৎস সম্পর্কে শুনতে চাই...... - প্রেমেই আছি। সেটা প্রকৃতির প্রেম হতে পারে আবার আধ্যাতিক প্রেমও হতে পারে হতে পারে কোনো প্রেয়সী। তবে প্রেমে পড়ে আছি বলেই কবিতা হচ্ছে, লিখছি। প্রেম প্রকাশ হলে প্রেমের অপমৃত্যু হয় তাই এর থেকে বেশিকিছু বলতে চাই না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...