ক্যাম্পাস সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্যাম্পাস

 লাইফ ইজি করার পার্সপেক্টিভ

1) Everyone has problems:
এমন চিন্তা করার কোন কারণ নাই যে দুনিয়ার সব প্রব্লেম ই তোমার লাইফে চলে আসছে। অন্য কারো লাইফে কোন সমস্যাই নাই। বরং একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে। সবার লাইফেই কম বেশি-- পার্সোনাল, ফাইনান্সিয়াল, ফ্যামিলি, রিলেশনাল, হেলথ, এডুকেশনাল, ক্যারিয়ার, বস দেখতে পারে না, প্রতিবেশী, জমি-জমা, ল্যাপটপ ঠিক মতো চলে না, ব্রডব্যান্ড নিতে পারছে না। অর্থাৎ কিছু না কিছু সমস্যা আছেই। যেগুলা বাহির থেকে দেখলে আমরা বুঝতে পারি না।
যখন তুমি রিইলাইজ করবে-- তোমার জীবনে সমস্যা আছে অন্য সবার লাইফেও তেমন সমস্যা আছে --ভাবতেই তোমার ভিতরটা অনেক হালকা হয়ে উঠবে।
.
2) No one has a Perfect Life:
দূর থেকে অন্য অনেকের জীবন পারফেক্ট মনে হয়। পারফেক্ট ক্যারিয়ার, পারফেক্ট কাপল, পারফেক্ট জিনিয়াস, পারফেক্ট লাইফ, পারফেক্ট ফিউচার। কিন্তু একটু ডিটেইল এ খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবে-- তারাও অন্য সবার মতো ইম্পারফেক্ট। তারাও মিস্টেক করে। তারাও ভুল ডিসিশন নেয়। তারাও গ্যাঞ্জাম পাঁকিয়ে ফেলে। তাদেরও পেটে ব্যাথা, দাঁত শিনশিন, বুক চিনচিন, আমাশয় হয়।
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে। তোমার লাইফের সবকিছু কিন্তু তুমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দাও না। কোথাও ঘুরতে গেলে, ভালো রেস্টুরেন্ট এ খাইলে, ভালো রেজাল্ট করলে সেই ভালো জিনিসগুলো শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে দাও। আর খারাপ বা নরমাল জিনিসগুলা দাও না। একইভাবে অন্যরা শুধু ভালো জিনিসগুলাই দেয়। খারাপ বা নরমাল জিনিসগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয় না।
সো, আরেকজনের সোশ্যাল মিডিয়া লাইফের সাথে তোমার রিয়েল লাইফের তুলনা করতে যেও না।
.
3) Situation is similar for everyone:
সব সময় খেয়াল রাখবে: যে জিনিসটা তোমার জন্য টাফ সেটা অন্য সবার জন্যও টাফ। যে জিনিসটা তোমার কাছে বোরিং, হার্ড, চ্যালেঞ্জিং; সে জিনিসটা অন্য সবার কাছেও বোরিং, হার্ড, চ্যালেঞ্জিং।
বাহির থেকে কারো কারো জন্য কিছু জিনিস ইজি মনে হতে পারে। কিন্তু ভিতরের ব্যাপার সেরকম না। বরং তাদের জন্যও হার্ড। হয়তো কোন কারণে (ডাইরেক্টলি বা ইন্ডাইরেক্টলি) তারা ওই জিনিসটার সাথে লেগে ছিল। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। ধৈর্য্য নিয়ে কিংবা দাঁত কামড়ে পড়ে ছিল। সেই ধাপগুলো পার হওয়ার পর এখন বাইর থেকে আমরা দেখলে মনে করি তার জন্য জিনিসগুলা ইজি পিজি লেমন স্কুইজি। বা ন্যাচারাল। কিন্তু ভিতরের বিষয় হচ্ছে: লেম্বু চিপার মতো করে যে তার ভিতরের জিনিস সব কচলাইয়া রস বের করে তারপর এচিভ করছে সেটা বাহির থেকে ফিল পাওয়া যায় না
সো, আরেকজনের আউটপুট বা লাষ্ট স্টেপ তোমার ইনপুট বা ফার্স্ট স্টেপ এর সাথে তুলনা করতে যেও না।
.
4) Nobody gains multiple-skills at the same time:
আমরা অনেক কেই দেখি অনেক কিছু তে প্রো। বস পাবলিক। ইংরেজিতে পক পক করে। গ্রাফিক ডিজাইন করে আবার এখন নাকি ওয়েব ডেভেলপার হচ্ছে। এতো প্রতিভার ঝাড়িঝুড়ি ঝলকানিতে আমরা জলসে যাই। তারা এতো কিছু কিভাবে করে? আর আমি তো একটা জিনিসই করতে পারি না। বা একটার বেশি দুইটা জিনিস করতে গেলে ক্যাঁচাল বাঁধায় ফেলি।
এক্ষেত্রে ভিতরের বিষয় হচ্ছে--তারা কেউই সব স্কিল একদিনে তৈরি করেনি। প্লাস সব কাজ একসাথে করে না। হয়তো স্কুলে থাকতে একটু ড্রয়িং করেতো। এখন দরকার পড়লে ডিজাইন করতে পারে। যখন ফ্রি টাইম পাইছে ইংরেজি নিউজপেপার বা ইংরেজি বই পড়েছে। হয়তো ভার্সিটিতে পড়ার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখেছে। এখন করা লাগলে সেটাতে ফোকাস করতে পারে। বা কিছু একটা বানাইতে পারে। যদিও স্কিলগুলা সে একসাথে ডেভেলপ করে নাই। তারপরেও তাকে দেখলে মনে হয় সে ডিজাইনে ভালো, ডেভেলপমেন্ট এ ভালো আবার ইংরেজিতেও ভালো।
সো, তুমিও অন্য কারো মাল্টি স্কিল দেখে নিজেকে অসহায় মনে না করে বা একসাথে দুনিয়ার সব প্রব্লেম সল্ভ না গিয়ে। একটা একটা করে শিখতে যায়। তোমার লাইফও ইজিয়ার হবে এবং চার বছর পরে তোমারও মাল্টি-স্কিল তৈরি হয়ে যাবে।
.
5) You are Unique:
হাজার চেষ্টা করলেও তোমার লাইফ অন্য কারো লাইফ এর মতো হুবহু সেইম টু সেইম হবে না। কারণ দুনিয়ার সবাই ইউনিক। সবার লাইফ ইউনিক। সবার সিচুয়েশন ইউনিক। সবার সফলতা বা ব্যর্থতা ইউনিক।
তাই অন্যের সাথে তুলনা না করে তাদের লাইফ থেকে কিছু নিতে পারলে নাও। না নিতে পারলে ইগনোর করো। এবং তোমার বাস্তবতা মেনে নাও। তাহলে তোমার লাইফ অনেক ইজি হয়ে উঠবে।
.
সামারি হচ্ছে: তুলনা না করে, নিজেকে পরিচালনা করো। অযথা চিন্তা না করে, চেষ্টা করো। দৃষ্টিভঙ্গি এডজাস্ট করো। বাকিসব এডজাস্ট হয়ে যাবে।

ঝাংকার মাহবুব,
ওয়েব ডেভেলপার, লেখক ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিক্ষক
সিইও, প্রোগ্রামিং হিরো

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না,তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক জয়নাল আবেদীনের, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়

জেফিরাজ দোলন কুবি, ময়মনসিংহ থেকে 'মধুপুর সরকারী কলেজঃ অবসরকালে যেমন কেউ বিদায় দেন না, তেমনি কেউ বিদায় পান না' - এমনই হৃদয় বিদারক ফেইসবুক স্ট্যাটাস ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়! মধুপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন-এর স্ট্যাটাসে ঐ কলেজের কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক এবং ছাত্র - ছাত্রীরা কমেন্ট করেছেন। কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেখানে কিছু অভিভাবকগণও তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ঠিক মোক্ষম সময়ে স্ট্যাটাসটি সবার মনে এবং হৃদয়ে দাগ কাটতে পেরেছে মনে করছেন সবাই। অনেকে একে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি ঐ কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অবসর প্রাপ্ত), ইতিহাস বিভাগ। তিনি ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। লেখাটি গুরুত্ব পেয়েছে এই কারণেও। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, " টাঙ্গাইলের মধুপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে) এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানকার শিক্ষক এবং স্টাফরা অবসরে গেলে কেউ কাউকে কখনো বিদায় সংবর্ধনা দেন না এবং প্রতিদানে কেউ সংবর্ধনা পান না! এজন্য অধ্যক্ষদের ভাগ্য...

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

আমার দেখা একজন সাদা মানুষ

  In Memory of Hon'ble State Minister for Social Welfare Affairs, late Pa Advt Promod Mankin MP. Rest in peace Sir... প্রাক কথন কলেজ জীবন শুরু করার আগে আমার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনে দেখা একজন অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম! সে লেখা আজও শেষ করতে পারি নি। ইচ্ছে করত একটা সাদামাঠা সে কবিতা হবে, হয় নি। আজ আবার সেই মানুষটাকেই নিয়ে লিখছি। একদম সাদা - রঙহীন, গন্ধহীন, রসহীন হবে সে লেখা। লেখায় রঙ চং রাখতে চাই না। আমার কাছে থেকে, দূরে থেকে দেখা না দেখা কিছু কথা। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু নিরীক্ষণ থেকে। এক তখন দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছি! বাবা বললেন, "তোমার ফাজং (জ্যাঠা), সালাম করো।" যে লোকটাকে কখনো দেখিই নি, তাঁকে ঝুপ করে সালাম করাটা কিছুটা কষ্টেরই ছিল বটে আমার জন্য। তাই আমি "নমস্কার আংকেল, কেমন আছেন?" বলে কেটে পড়তে চাইলাম। "ভাল, তুমি কেমন আছ? তুমি তো খুব সুন্দর করে নমস্কার দিতে পারো বাবা। কি নাম তোমার?" আরও কিছু কথা চলল। তারপর তিনি বললেন, "তুমি তো খুব সুন্দর করে বাংলা বল! তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখো, আমা...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...