দ্য গারো নিউজ টুয়েন্টিফোর সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সাহিত্য ও সংস্কৃতি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একটি মিথ্যে গল্প (ছোট গল্প)

এক শোভন আমার প্রিয় ছাত্রদের একজন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের স্বপ্নবাড়ি গ্রামে। সেখানে এত ভাল কলেজ থাকতে কেন বংশাই নদীর পাড়ের 'মধুপুর কলেজ'-এ পড়তে আসল, আমি ভেবেই পাই না। তার ছোট বোনও আমাদের কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দু'জনেই অসম্ভব মেধাবী। কিন্তু এত এত বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, সবকিছুতে এত এত পরিশীলিত এবং পরিমার্জিত যে বর্ণনা করা যায় না। ওরা কলেজের পর সপ্তাহে ৩ দিন আমার বাসায় পড়তে আসে। তাদের বাবা একজন শিক্ষিত, সজ্জন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। যেদিন থেকে জানি ওরা মুক্তিযোদ্ধার ছেলে-মেয়ে, সেদিন থেকে তাদের প্রাইভেট পড়ার টাকা নেই না। ওতে যেন আমিও তাদের পরিবারে একটা আলাদা মর্যাদার আসন পেলাম। তাদের বাবা-মাসহ পরিবারের সকলেই আমাকে ‘স্যার’ বলে ডাকা শুরু করে দিলেন। সাথে ওদের গ্রামের ছোট বড় অনেকেই আমাকে অহেতুক 'স্যার' ডাকতে শুরু করে দিলেন।  আমি প্রতি মাসে স্বপ্নবাড়িতে যাই। সেখানে শোভন, শোভা আর একুশ'র বিনে পয়সার পাঠশালাতে ৩-৪ ঘন্টা স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বান-কি মুন, ড আতিউর রহমান, মাদার তেরেসা, আইন্সটাইন, টমাস আল্ভা এডিসনদের গল্প শোনাই। মাঝে মাঝে ইংরেজি পড়াই। চড়ুই পাখির গল...

ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নতুন একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম রিলিজ করতে যাচ্ছিঃ ওয়ারী নকরেক

'রেরে ব্যান্ড' গারোদের মিউজিক ব্যান্ডগুলোর মধ্যে সুপরিচিত এবং সিনিয়র ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য গারো ব্যান্ডদগুলো যেখানে গারো মৌলিক গান ছাড়াও বাংলা গান গাওয়ার চেষ্টা করে, রেরে ব্যান্ড এখনো গারো ব্যান্ডদল হিসাবে মান্দি গান নিয়ে কাজ করেই নিজের স্বকীয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করে চলেছে।     ওয়ারী নকরেক  রেরে ব্যান্ড এর লীড গিটারিস্ট ও ভোকাল ওয়ারী নকরেক গারো নিউজ ২৪ এর মুখোমুখি হয়েছিলেন আজ! সমসাময়িক গারোদের মিউজিক নিয়ে কীর্তি, বিতর্ক, সামাজিক মাধ্যমসহ নানান বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সিনিয়র রিপোর্টার তপন হাগিদক এর সাথে....  প্রশ্নঃ কেমন আছেন? রেরে ব্যান্ড গঠনের শুরুর দিকটা বলবেন কি? - ভাল আছি। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা যখন মানিক মিয়া এভিনিউ টিএনটি মাঠে চা আড্ডা দিতাম তখন আড্ডার ফাঁকেই একটা গারো ব্যান্ড দল করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তখন থেকেই আমরা আমাদের এক্টিভিটিস শুরু করে দেই। তবে স্টেজ শো সম্ভবত দুই বছর পর থেকে করেছিলাম ওয়ানগালাতে।  প্রথম দিকে এক সিনিয়র বড় ভাই তৃপ্ত তাঁতারা চিরান দাদার ভোকাল হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম ভোকাল হিসেবে স্টেজে পারফর্ম করেছিলো ভাস...

আদিবাসী শব্দে সরকারের অনীহা ও ভয়

উন্নয়ন ডি শিরা,  দেশে আদিবাসী আছে কি নেই— এই তর্ক বেশ পুরনো। সারাবছর সুনসান নীরবতা থাকলেও ৯ আগস্ট এলে এই তর্ক বেশ জোরালো হয়ে হঠে। টিভি, পত্র-পত্রিকা সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক হয়। আর এই তর্ক যেন না উঠে কিংবা উঠলেও জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে যেন প্রচার না পায় সেজন্য সরকার নির্দেশনা পত্র জারি করেছে। যা আদিবাসী অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে পদানত করে রাখার কৌশল মাত্র। সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা স্পষ্টই সংবিধান পরিপন্থী। কারণ সংবিধানের কোথাও ‘আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করা যাবে না’ এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা নাই। ফলত এই সার্কুলার আমলাতান্ত্রিক ও সংবিধানের প্রতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বহিঃপ্রকাশও বটে। তাছাড়া সংবিধানে বলা আছে কোনো শব্দ বা ধারা নিয়ে বিতর্ক হলে এর সমাধান উচ্চ আদালত করবেন। আদিবাসী শব্দ ব্যবহারে উচ্চ আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাহলে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কীভাবে আদিবাসী শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়? তাঁদের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সংবিধান লঙ্ঘন নয় কী? একসময় বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হরহামেশাই ‘আদিবাসী’ শব্...

গারো আইনের অনেক ধারা মানবাধিকার ও উন্নয়নের পরিপন্থি যা সংশোধন করা অতি আবশ্যক নয় কি?

[   ২০০৯ সালের আদিবাসী দিবসে লেখা] প্রতি বছরের মত এবারেও আমরা গারো আদিবাসীরা অন্য আদিবাসী সমাজের সাথে তালমিলিয়ে জাঁকজমক সহকারে, মহা-সমারোহে বিশ্ব-আদিবাসী দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। সকল আদিবাসীদের মত আমাদেরও একটাই দাবী “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি”। এই দাবী আমাদের সকল আদিবাসীদের প্রাণের দাবী, অস্থিত্বের দাবী, টিকে থাকার দাবী। এই দাবী পূর্ণ হউক আমরা সবাই তা অন্তর থেকে কামনা করি। কিন্তু আর একটা দাবী আমাদের সকল গারো পূরুষদের অন্তরে এবং মাথায় থাকলেও আমরা কেউই তার পক্ষে কথা বলতে চাইনা। আর তা হলো সম্পত্তিতে গারো পূরুষদের সমঅধিকার। ফটো ক্রেডিটঃ উন্নয়ন ডি' শিরা এই একবিংশ শতাব্দিতে দাড়িয়ে বিষয়টিকে নিয়ে উচ্চ-বাচ্চ করাটাও ঠিক নয়। যখন সাড়া পৃথিবীর নারীরা সমঅধিকারের জন্য আন্দোলন করছে, এ্যাডভোকেসী করছে, তখন গারো পূরুষরা তাদের দাবী আদায়ের জন্য এ্যাডভোকেসী করবে, লবিং করবে তাও খুব শ্রুতিমধুর হবে না। তাই বুঝি আমরা গারো আদিবাসী পূরুষেরা বুদ্ধিমানের মত চুপচাপ বসে আছি। ধন্য গারো আদিবাসী পূরুষেরা আমরা যারা চুপচাপ বসে আছি নিজেদের অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে। অন্য সমাজের কেউ জিজ্ঞেস করলে বলি, “না অনেক পরির্...

গারো সমাজ ব্যবস্থা কি মাতৃ - তান্ত্রিক না মাতৃ-সূত্রীয়?

গারো সমাজ ব্যবস্থা কি মাতৃ - তান্ত্রিক না মাতৃ-সূত্রীয়? আমাকে কেউ যদি এই প্রশ্ন করেন, আমি এক কথায় বলব, "না"।  গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃ-তান্ত্রিক(Matriarchal) নয় বরং মাতৃ - সূত্রীয় (Matrilineal)। এই দুই এর মধ্যে বেশ তফাৎ আছে।   মাতৃ - তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার প্রধান থাকেন মা, কিন্তু গারোদের পরিবার প্রধান থাকেন বাবা-ই। বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী ড রবিন বারলিং, ড মিল্টন এস সাংমা, ড জুলিয়াস এল আর মারাক গারো সমাজ ব্যবস্থাকে  মাতৃ - সূত্রীয়(Matrilineal) বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁরা গারো সমাজে পুরুষকেই পরিবার প্রধান (Head of the family) বলেও উল্লেখ করেন। বাস্তবেও গারো সমাজে পুরুষ পরিবারের প্রধান হিসেবে সকলকে শাসন ও দেখাশুনা করেন। পুরুষ তাঁর ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীকে শাসন করতে পারেন কিন্তু নারী তাঁর স্বামীকে শাসন করতে পারেন না। এর জন্য তাঁকে 'চ্রা' দের উপর নির্ভর করতে হয়।       এই অংশের লেখাটি গারো সমাজের তরুণ সমাজের জন্য আজকে (৩ ডিসেম্বর ২০২০) লিখছি! গত কয়েকদিনে অন্তত ২০ টি ফেইসবুক পেইজ আর গ্রুপে 'মান্দি সংস্কৃতি' নিয়ে কিছু শিক্ষিত, অশিক্ষি্‌ অস...

গারো সমাজের সংক্ষিপ্ত সাতকাহন

গারো সমাজের সংক্ষিপ্ত সাতকাহন এক গারো সমাজে 'ম্যাজিস্ট্রেসী পাওয়ার' বা 'নির্বাহী ক্ষমতা' ছেলেদের একছত্র অধিকার! গারো সমাজে নারীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মত এবং পুরুষরা প্রধানমন্ত্রীর মত ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন। দুই এই সমাজে মেয়েরা রাজকন্যা, ছেলেরা একেক টা রাজপুত্র। রাজকন্যারা বড় হয়ে 'রাষ্ট্রপতির মত' সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় আসীন হন, এবং রাষ্ট্রের তথা পরিবারের শোভা বর্ধন করেন। রাষ্ট্রপতির কোন ক্ষমতা নেই জেনেও রাষ্ট্রের সকল নাগরিক যেমন তাঁকে শ্রদ্ধা করেন, তেমনি পরিবারেও মা'কে সকলেই নিঃশর্ত সম্মান করেন।            Kushal Bhowmick, সহকারী অধ্যাপক, সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, করোটিয়া, টাঙ্গাইল  এই সমাজে বলতে গেলে একজন নারী নাম মাত্র সম্পদ এবং সম্পত্তির মালিক হন। এর দেখাশুনা থেকে শুরু করে, বিলি - বন্টন, এমন কি বেচা - কেনা পর্যন্ত সবই করেন পুরুষরাই। এখানে নারীদের ভূমিকা একেবারেই গৌণ। আমরা কথায় কথায় বলি, আমাদের পরিবারের প্রধান মা! প্রকৃত পক্ষে গারো সমাজে বাবাই পরিবার প্রধান। তিন পরিবারের সকল সিদ্ধান্তের মালিকও পুরুষরাই; নারীদের কাছে শুধুমাত্র মতাম...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...