দ্য গারো নিউজ টুয়েন্টিফোর সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

হাসির গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হাজারো সুপ্রিয় দত্তের গল্প

সুপ্রিয় দত্ত বিকেলে অফিসে বসে ল্যাপটপে কাজ করছেন। একটু পরেই ক্লায়েন্টদের সাথে জরুরি মিটিং শেষ করে জলদি বাড়ি ফিরতে হবে। স্ত্রীকে নিয়ে পার্টিতে যেতে হবে। এমন সময় পর্দা ঠেলে যমদূতের প্রবেশঃ “ভেতরে আসবো সুপ্রিয়?” যমদূতকে দেখে সুপ্রিয় দত্তের মুখ শুকিয়ে গেল। “আ…আ…আপনি? এখন! আমার তো মাত্র সাতচল্লিশ বছর চলছে, এখনো কতো কি করার বাকি, দেখার বাকি…আমাকে এখনই নিতে এসেছেন!!” যমদূত আয়েশ করে সোফায় বসে বললেন, “তুই তো আজ তোর মোবাইল বাড়িতে ফেলে এসেছিস, তাই না?” “আজ্ঞে হ্যাঁ…” “স্ক্রীন লক অপশানও রাখিস নি, তাই না?” সুপ্রিয়র হার্টবিট বেড়ে গেল, “…না, করি করি করে করা হয়ে ওঠেনি…” “হে হে হে, এই মুহূর্তে তোর বউ বেডরুমে বসে বসে তোর messenger আর WhatsApp এর সমস্ত মেসেজ মন দিয়ে পড়ছে। এবার তুই-ই ঠিক কর, বাড়িতে ফিরবি নাকি আমার সাথে যাবি।” সুপ্রিয় দত্তের সারা শরীর ভিজে গেল। উঠে দাঁড়িয়ে উদাস, উদ্ভ্রান্ত কন্ঠে বললেন, “চলুন কোথায় নিয়ে যাবেন প্রভু!” @কালেক্টেড

ছুটির দিনে (হাসির গল্প)

  স্বামী-স্ত্রী ঘরে বসে ছিল। ছুটির দিন। বউ বলল, চলো সময় কাটাতে দুজনে একটা খেলা খেলি। তুমি একটা কাগজে পাঁচজন নারীর নাম লেখো, যাদের তুমি পছন্দ করো। আর আমি পাঁচজন পুরুষের নাম লিখছি, যাদের আমি পছন্দ করি। দুজনে কাগজ-কলম নিয়ে লেখা শুরু করে দিল। কিছুক্ষণ পরে কাগজ খোলা হলো। বউ লিখেছে ■ ব্র্যাড পিট ■ সৌরভ গাঙ্গুলী ■ উত্তমকুমার ■ ওস্তাদ জাকির হোসেন ■ হৃতিক রোশন স্বামী লিখেছে ◆ রিমা (ছেলের স্কুলের বন্ধুর মা) ◆ অঙ্কিতা (বউয়ের মামাতো বোন) ◆ সীমা (বউয়ের বান্ধবী) ◆ শবনম (সামনের ফ্ল্যাটের বৌদি) ◆ অপর্ণা (ছেলের গৃহশিক্ষিকা) মরাল অব দ্য স্টোরি পুরুষ বাস্তববাদী। নারী থাকে স্বপ্নের জগতে। ★এই খেলার পরিণতি ● স্বামী দশ দিন ধরে হোটেলের খাবার খাচ্ছে। ● ড্রয়িংরুমের সোফায় ঘুমোচ্ছে। ● অপর্নার চাকরি গেছে। ● অঙ্কিতার মোবাইল নাম্বার ও ফেসবুক ২টোই ব্লক। ● বউ সীমাকে বাড়িতে আসতে বারণ করেছে। ● সামনের ফ্ল্যাটের দিকের জানালায় কাঠের ব্যাটাম দিয়ে পার্মানেন্ট বন্ধ। ● অনলাইন ক্লাস শেষে স্কুল খুললে রিমার কি ব্যবস্থা হবে সেটা এখনও অজানা.। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ এই বিপজ্জনক খেলা নিজের ঘরে খেলবেন না। আমার মনে হয় একটা বয়েসের প...

মাষ্টার মশাই

টিউশনিতে গেলাম, পড়াচ্ছি।  স্টুডেন্টের পুঁচকে ছোট ভাই এসেছে হাতে চকোলেট নিয়ে। এসে আমাকে বলছে, কাও, এটা তুমি কাও।  কয়েকবার না করলাম। তা-ও শোনে না। পুঁচকেটা চকোলেট আমার মুখে লাগিয়ে আবারও বলছে, ‘কাও’। আমার মুখ মেখে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে হাঁ করে খেয়ে নিলাম। না খেলে মুখ নোংরা করে ফেলত,  আমি শিওর। চকোলেট চিবচ্ছি আর পড়া দেখিয়ে দিচ্ছি। খাওয়া শেষ। পুঁচকের মুখের দিকে চেয়ে দেখি, ওর চোখের জল টলমল করছে। পুঁচকেটা দুই হাত দিয়ে আমার মুখ ফাঁকা করার চেষ্টা করছে। কি বিরক্তিকর অবস্থা! না খেলেও জ্বালা, খেয়েছি তাতেও জ্বালা। নিজেই হাঁ করলাম। ও মুখের ভেতরে তাকিয়ে দেখে, চকোলেট নেই। মানে খেয়ে ফেলছি। ওর বুঝতে দেরি ভ্যাএএএএ করে কান্না করতে দেরি নেই। পাশের ঘর থেকে স্টুডেন্টের মা বলছে, ‘কি হয়েছে রে রাজু (আমার ছাত্র)? বিজু কাঁদে কেন?’ স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট বলে দিয়েছে, ‘স্যার বিজুর চকোলেট খেয়ে ফেলেছে। এই কথা শুনে মনে হলও চকোলেট না, আমি বিষ খেয়েছি। কি লজ্জার ব্যাপার। স্টুডেন্টের ঠাকুমা এসে পুঁচকেটাকে নিয়ে গেল। কান্নার শব্দ বেড়েই যাচ্ছে। স্টুডেন্টের দাদু-দিদিমা পাশের ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে, ‘কি হয়েছে দাদা ভাই?...

আমার বন্ধু রুবি (ছোট গল্প)

এক অনেক বছর কেটে গেছে! ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য বিখ্যাত, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে, আমি সুবোধ বালকের মত দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, এদেশে একটা ভাল অফার পায়ে দলে।  আমার এমন সিদ্ধান্তে বন্ধু, এমন কি শিক্ষক মহলও খুবই বিস্মিত এবং ব্যথিত!  সবাই বলছেন, "তুমি একজন 'হোপলেস'-এর মত কাজ করতে যাচ্ছ! যখন বুঝতে পারবে তুমি ভুল করেছিলে, তখন তোমার আর শোধরানোর সময় আর সুযোগ কোনটিই পাবে না!'    মানুষের জীবনে কতই তো এমন হয়! তাই কি মানুষের জীবন-জীবিকা থেমে থাকে? আমার বিশ্বাস বেঁচে থাকলে আমি আরও এমন সুযোগ করে নিতে পারব। সুযোগ কেউ কাউকে দেয় না, কাজ করে, শ্রম দিয়ে, ঘাম ঝরিয়ে সুযোগ তৈরি করে নিতে হয়। আর ভাগ্য? "বোকারাই ভাগ্যে বিশ্বাস করে কিন্তু তারা ভাগ্য গড়তে জানে না ।"   আমাদের ক্লাশে ২১ টা দেশের ৩৩ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের ২১ জনই ফুল ব্রাইট স্কলার! তাঁদের মধ্যে একজন পরীর মত সুন্দর মেয়ে! সুন্দর বলতে আমি কেবল বাহ্যিক সুন্দরের কথা বলছি না, বলছি মনের আর হৃদয়ের কথাও! বাহ্যিক চেহারার যে সৌন্দর্য তা কেবল চোখে কিছুদিন লেগে থাকে, হৃদয় আর মনকে স্পর্শ ক...

সর্বাধিক পাঠ করা লেখা

নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিলেন সিমব্রি অর্ণি সাংমা

জেফিরাজ দোলন কুবি ময়মনসিংহ থেকে,  বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়েছেন সিবব্রি অর্ণি সাংমা। তিনি ৫ জানুয়ারী, ২০২২ ঢাকার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে যোগদান নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে সাংমা গত ৮ জানুয়ারী পতেঙ্গা নাভাল একাডেমীতে ৩ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অর্ণি গারো আদিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌবাহিনীর কমিশন্ড র‍্যাংক-এ সুযোগ পেলেন।      বাবা-মা ও বোনদের সাথে  অর্ণি  নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী নৌবাহিনীর নেভাল একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস ও মিভশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাব-লেফটেন্যান্ট পদে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হয়ে থাকে।     গারোদে র পোশাক পরতে ভালোবাসেন  অর্ণি সাইমন স্বর্ণেন্দু সাংমা ও সুচরিতা রেমার জেষ্ঠ সন্তান সিমব্রি অর্ণি সাংমা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী। অর্ণি ময়মনসিংহের ভিক্টোরিয়া মিশন প্রাইমারী স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে কৃতিত্বের সাথে মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও মুমিনুননেসা সরকারী মহিলা কলেজে হতে এইচএসসি...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিলেন ১১ মেধাবী গারো শিক্ষার্থী

ফৈবি কুবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নিয়েছেন ১১ জন গারো কৃতি শিক্ষার্থী। তাঁরা ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হবেন। ডেলা চিরান দৃষ্টি মানখিন যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন তারা হলেন : দৃষ্টি মানখিন (নৃবিজ্ঞান), জেসিকা নকরেক স্বস্তি(আইন), পাপিয়া চিছাম(আইন), ডেলা চিরান (ফিন্যান্স), রিংচি মৃঃ (একাউন্টিং), স্পন্দন রেমা( কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), ইফ্রোইম রেমা (কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), নিঃস্ব রংদী( অর্থনীতি), রুদ্র ম্রং( সমাজবিজ্ঞান), ইসুদুর পল রংদী(পপুলেসন সাইন্স) এবং সাগাল সিমসাং(দর্শন)। পুনশ্চঃ সবার ছবি পাওয়া যায় নি। পাওয়া মাত্র আমরা সবার ছবি দিয়ে দিব ... সংবাদ টি শেয়ার করে বন্ধু - স্বজনদের জানিয়ে দিন

ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাটে ২ গারো আদিবাসী ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারঃ ধর্ষকেরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে

ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক,  গত ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটের গাজিরভিটা ইউনিয়নে দুইজন গারো আদিবাসী ছাত্রী গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়স ১৩-১৪ হবে।  জানা গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার পথে ঐ দুই জন স্কুল ছাত্রী ছয় বখাটে যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।  ধর্ষকদের একজনের নাম মোঃ রিয়াদ বলে জানা গেছে। রিয়াদ কচুয়াকুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানের পুত্র এবং বাকী ৫ জন ধর্ষক রিয়াদের বন্ধু বলে জানা গেছে।  এদের বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।  হালুয়াঘাট থানার ওসি জানিয়েছেন, তাঁরা আসামীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।  তবে এলাকাবাসী বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠনগুলো এখনও অনেক টা নীরব। এই সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করলেই কেবল ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে তাঁরা মনে করছেন।  বাগাছাস-গাসু-টিডব্লিওএ এর নেতাদের নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেরেজিং সাংমা(ছদ্মনাম) তাঁর ক্ষোভ এবং হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, "বাগাছাস...